আমরা মামলাটা লড়বো : গভর্নর
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নন, তিনি বাংলাদেশি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, সাইফুল আলম আমাদের (বাংলাদেশে) ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশি না হলে কীভাবে চেয়ারম্যান, পরিচালক হন! চোরের মায়ের বড় গলা।
সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন- তার এমন আরবিট্রেশন মামলা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন গভর্নর। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নন, তিনি বাংলাদেশি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, সাইফুল আলম আমাদের (বাংলাদেশে) ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশি না হলে কীভাবে চেয়ারম্যান, পরিচালক হন! চোরের মায়ের বড় গলা।
সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন- তার এমন আরবিট্রেশন মামলা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন গভর্নর। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
পাচার হওয়া টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনার বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, এ বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক।
কতগুলো কেস চিহ্নিত করতে পেরেছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সংখ্যাটা এ মুহূর্তে মনে নেই। অনেকগুলো মামলা হয়েছে।
মামলা থেকে অর্থ আসবে কি না, এ ধরনের কোনো আশা পাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্ন করা হলে গভর্নর বলেন, আমাদের কথা বলতে হবে। বিদেশ থেকে অর্থ আনতে ৪ থেকে ৫ বছর লাগে। এর নিচে হয় না। আমরা খুবই ভাগ্যবান লন্ডন থেকে যদি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মামলার সমাধান হয়ে যায়, কারণ মামলাটা তারা লড়ে নাই, ফলে এমনিতেই মামলাটা তারা হেরে গেছে। সেখানে একটা সুযোগ আছে। সেটা কবে আসবে, ফেব্রুয়ারির আগে আসবে নাকি এপ্রিল, জুন, জুলাই, আগস্টে আসবে আমি তো সেটা জানি না।
তিনি বলেন, বাকিগুলো আবেদনের ওপর নির্ভর করে। সেটা দীর্ঘ প্রসেস। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ধারণা সাইফুজ্জামান তো মামলা লড়েননি। তিনি তো এমনিতেই হেরে গেছেন।
এস আলমের বিষয়ে কী হলো? এমন প্রশ্নে আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনে এস আলম আরবিট্রেশন ফাইল মিউটেশন করেছেন। আমরা মামলাটা লড়বো। চোরের মায়ের বড় গলা।
তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশের কোর্টে এটা প্রমাণিত এবং আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। তো সেই হিসেবে আমরা কন্টেস্ট করবো যে তিনি সে সিঙ্গাপুরের নন, তিনি বাংলাদেশি। আমাদের ব্যাংকের ডাইরেক্টর ছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশি না হলে কীভাবে চেয়ারম্যান, ডাইরেক্টর হন!
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমানতকারীদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা একটা সিস্টেম ডেভেলপ করছি। কম্পিউটার সিস্টেম, যেটার মাধ্যমে ডিপোজিটরের টাকা তার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য সরকার যে টাকা দেওয়ার কথা সেটা পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আহসান এইচ মনসুর বলেন, সে টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আছে, ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের এমডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, কতজন আবেদন করেছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ কঠিন কাজ। তবে কতজন আবেদন করেছেন, তা তিনি জানাননি।
