অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে আসতে চাওয়া ৭ কোম্পানিতে ১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগে করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু ওইসব কোম্পানিগুলোর আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে। যাতে বিনিয়োগ ফেরত নিয়ে তৈরী হয়েছে শঙ্কা। এ অবস্থায় বিনিয়োগ ফেরতে মামলা করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ।

আর্থিক হিসাব থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে পপুলার লাইফ। কিন্তু কোম্পানিগুলো আইপিওতে যেতে পারেনি। যেসব কোম্পানি ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে আসতে চাওয়া ৭ কোম্পানিতে ১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগে করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু ওইসব কোম্পানিগুলোর আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে। যাতে বিনিয়োগ ফেরত নিয়ে তৈরী হয়েছে শঙ্কা। এ অবস্থায় বিনিয়োগ ফেরতে মামলা করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ।

আর্থিক হিসাব থেকে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে পপুলার লাইফ। কিন্তু কোম্পানিগুলো আইপিওতে যেতে পারেনি। যেসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ ফেরত বা ওইসব কোম্পানির আর্থিক অবস্থা জানা যায়নি। তবে পপুলার লাইফ কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকৃত ১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায়ে ৫ কোম্পানির বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মামলা করেছে।

পপুলার লাইফ থেকে আমুলেট ফার্মায় ৬ কোটি টাকা, বি.ব্রাদার্স গার্মেন্টসে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা, বেকা গার্মেন্টসে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, এক্সটাইল মিলসে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা, দেশ ডেনিমে ২৫ লাখ টাকা, ক্রিডেন্স অ্যাসেট ম্যাংয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও আলবি টেক্সটাইল মিলসে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ক্রিডেন্স অ্যাসেট ও আলবি টেক্সটাইল ছাড়া বাকি ৫ কোম্পানি থেকে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ আদায়ে মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন.....

সাফকো স্পিনিংয়ে কোটি কোটি টাকার হিসাবের সত্যতা পায়নি নিরীক্ষক

এদিকে ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা এবং তা পরবর্তী ৯ মাসের কর্মীদের মধ্যে বিতরন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ব্যবসায় তা না করে কর্মীদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ এজেন্টদেরকে চেক ও নগদে কমিশন দেন বলে নিরীক্ষায় উঠে এসেছে। কিন্তু নগদ প্রদান নিয়ম বর্হিভূত।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনাও মানছে না পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে ৩০% শেয়ার ধারনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পুপলার লাইফের উদ্যোক্তা/পরিাচলকদের আছে ২৩.৭০%।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৬০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৭৬.৩০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪১.৬০ টাকায়।