আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পারফরমেন্স দেখিয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন শেয়ারবাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি ৩১ টাকা করে ইস্যু করে। তবে শেয়ারবাজারে আসার পরে কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ৪৭ কোটি টাকা মুনাফা এখন ৪৫ কোটির লোকসানে নেমে এসেছে। অথচ ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২.৩৬ টাকা হিসাবে ৪৪ কোটি ৮৮ লাখ ...

আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পারফরমেন্স দেখিয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন শেয়ারবাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি ৩১ টাকা করে ইস্যু করে। তবে শেয়ারবাজারে আসার পরে কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ৪৭ কোটি টাকা মুনাফা এখন ৪৫ কোটির লোকসানে নেমে এসেছে। অথচ ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২.৩৬ টাকা হিসাবে ৪৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। অথচ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিট ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল। অর্থাৎ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পরে ব্যবসায় পতন ১৯৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন...প্রত্যাহার করা হবে ফ্লোর প্রাইস

এ কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে প্রবেশের প্রথম বছরেই ব্যবসায় বড় পতন হয়। ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব বা প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা ৩.১৩ টাকা ২০২০-২১ অর্থবছরে নেমে আসে ২.০৩ টাকায়। যে ইপিএস ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ০.৩৮ টাকায় নেমে এসেছিল। আর সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরেতো লোকসান।

কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও ৩১ টাকা করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যুর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই বিনিয়োগের বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় শুধুমাত্র সাধারন শেয়ারহোল্ডাররা ৫ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা পাবেন। যা ৩৫ টাকার বিপরীতে ১.৪৩ শতাংশ এবং ৩১ টাকার বিপরীতে ১.৬১ শতাংশ। অথচ যেকোন ব্যাংকে এফডিআর করলে এর থেকে অনেক বেশি পাওয়া সম্ভব।

এর আগের অর্থবছরের ব্যবসায় ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।

ইস্যু ম্যানেজার লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে বুক বিল্ডিংয়ে শেয়ারবাজারে আসে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার। বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৩৪.৫০ টাকায়। যা ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ধরে রাখা হয়েছে। অন্যথায় অনেক আগেই দর তলানিতে চলে আসতে পারত। যে শেয়ারটি গত ২৩ জুলাই থেকে ফ্লোরে পড়ে রয়েছে।