শেয়ারবাজারে তালিজকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দুটি পাওয়ার প্লান্টের চুক্তির মেয়াদ আগামি মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে। তবে চুক্তি নবায়নে এখনো কোন অগ্রগতি নেই। এছাড়া বাণিজ্যিক কার্যক্রমে থেকেও কোম্পানিটি সর্বশেষ অর্থবছরে বড় লোকসান গুণেছে। এসব কারনে কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবের ১.৪ নং নোট অনুযায়ি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে খুলনা পাওয়ারের দুটি ...

শেয়ারবাজারে তালিজকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানির দুটি পাওয়ার প্লান্টের চুক্তির মেয়াদ আগামি মার্চ মাসে শেষ হয়ে যাবে। তবে চুক্তি নবায়নে এখনো কোন অগ্রগতি নেই। এছাড়া বাণিজ্যিক কার্যক্রমে থেকেও কোম্পানিটি সর্বশেষ অর্থবছরে বড় লোকসান গুণেছে। এসব কারনে কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক হিসাবের ১.৪ নং নোট অনুযায়ি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভোলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে খুলনা পাওয়ারের দুটি প্লান্টের (ইউনিট ২ ও ৩) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) আগামি ২৩ মার্চ শেষ হয়ে যাবে।

মেয়াদ শেষের পথে থাকায় খুলনা পাওয়ার কর্তৃপক্ষ চুক্তি ৫ বছরের নবায়নের জন্য বিপিডিবিকে লিখিত দিয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন......সাবসিডিয়ারিতে ডুবেছে বারাকা পতেঙ্গা

এদিকে চুক্তিতে থাকা অবস্থাতেই কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। যেখানে পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়েছে ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এসব পরিস্থিতিতে কোম্পানির ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা সক্ষমতা নিয়ে খুবই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

এর আগে ২০২১ সালে খুলনা পাওয়ারের দুটি পাওয়ার প্লান্টের চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেছিল। সেক্ষেত্রে ২ বছর বাড়ানো হয়েছিল। তবে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। নবায়ন চুক্তিতে ‘no electricity no payment without any guaranteed off-take’ এই শর্ত থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ারের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) মালিকানা ৩০.০১ শতাংশ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৬.৬০ টাকায়।