২১৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি পতন সত্ত্বেও যেভাবে ২২৭০ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধি

দেশের ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রায় ২১৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি কমেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ২২৭০ শতাংশ। যার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান তলানিতে নেমে আসা। এছাড়াও উৎপাদন ব্যয়ের হার এবং প্রশাসনিক ব্যয় কমে আসা এবং সুদজনিত আয় বৃদ্ধিতে মুনাফা বেড়েছে।
দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে ওয়ালটনের ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের ...
দেশের ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে প্রায় ২১৮ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি কমেছে। তারপরেও কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ২২৭০ শতাংশ। যার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান তলানিতে নেমে আসা। এছাড়াও উৎপাদন ব্যয়ের হার এবং প্রশাসনিক ব্যয় কমে আসা এবং সুদজনিত আয় বৃদ্ধিতে মুনাফা বেড়েছে।
দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে ওয়ালটনের ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে পণ্য বিক্রি কমেছে ২১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বা ৮ শতাংশ।
এ সত্ত্বেও কোম্পানিটির নিট মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার বা ২২৭০ শতাংশ।
ওয়ালটনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৬ মাসে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৩৪০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ১১.২৪ টাকায়। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ১৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ০.৪৭ টাকা।
বিক্রি পতন সত্ত্বেও কোম্পানিটির মুনাফায় উল্লম্ফনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান কমে আসা। এছাড়া উৎপাদন ব্যয়ের হার ও প্রশাসনিক ব্যয় কমে আসা এবং সুদজনিত আয় বৃদ্ধিতে নিট মুনাফা বেড়েছে।
ওয়ালটনের আগের অর্থবছরের ৬ মাসে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। যার পরিমাণ কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে নেমে এসেছে ৪৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান কমেছে ২৯২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বা ৮৭ শতাংশ।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পূর্ব আছিয়া ফুডসের ১৩৮ কোটি টাকার আয় এখন ৫৩ কোটি
এদিকে ওয়ালটনের আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৬৮.১৯ শতাংশ হারে উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল। যার পরিমাণ কমে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে হয়েছে ৬৪.৭৪ শতাংশ। এছাড়া আগের অর্থবছরের প্রথমার্ধের ৬৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার প্রশাসনিক ব্যয় কমে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৬১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা হয়েছে। আর ১ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদজনিত আয় বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
ওয়ালটনের মুনাফায় এই উত্থানের কারন হিসেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত লোকসান কমে আসাকে উল্লেখ করেছেন। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ১.০৫ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৭৮৪.৪০ টাকায়।