অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পরে নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র পরিশোধিত মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।

ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটির বিগত ৮ বছরের ইতিহাসে ৩০০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নাই। ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : দেশীয় কোম্পানিগুলো ব্যবসায় সম্প্রসারনের নামে নিয়মিত বোনাস শেয়ার প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা কোম্পানিতে রেখে দেয়। তারপরেও মুনাফা বাড়ে না। অথচ বহূজাতিক কোম্পানিগুলো শত শত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার পরে নিয়মিত মুনাফা বাড়ে। এমনকি নামমাত্র পরিশোধিত মূলধন নিয়েও দেশীয় শত শত কোটি টাকার কোম্পানির থেকে বেশি মুনাফা করে।

ঠিক এমনই ব্যবসা করে আসছে ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটির বিগত ৮ বছরের ইতিহাসে ৩০০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নাই। যেখানে দেশীয় কোম্পানিগুলোর জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া দূরহ হয়ে উঠে। এরমধ্যে আবার থাকে বোনাস শেয়ার।

ইউনিলিভারের ২০২৩ সালে ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন দিয়ে শেয়ারপ্রতি ৪৯.৮৯ টাকা হিসেবে ৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে।

এই মুনাফার বিপরীতে কোম্পানিটির পর্ষদ ৩০০ শতাংশ হারে শেয়ারপ্রতি ৩০ টাকা করে ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা শেয়ারবাজারের হাজার কোটি টাকার অনেক ব্যাংকের পক্ষেও সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন......লাফার্জহোলসিম দেবে ৫৮১ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ

ইউনিলিভারের ২০২৩ সালের ব্যবসায় অর্জিত ৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার নিট মুনাফার মধ্য থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার বা ৬০.১৩% নগদ লভ্যাংশ বিতরন করা হবে। বাকি ৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বা ৩৯.৮৭% রিজার্ভে যোগ হবে।

এর আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৬০.৬৪ টাকা হিসেবে নিট ৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছিল। ওই বছরের ব্যবসায় কোম্পানিটি থেকে ২৪০ শতাংশ নগদ ও ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।