কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরী আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যদি নিযুক্ত অডিটরসরা সঠিকভাবে যাছাই করে তাহলে পুঁজিবাজারে কোনো সমস্যা থাকবে না। অডিটরসদের খামখেয়ালিপনা তদারকি ও যাছাইবাছাই এর কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আজ দূর্ণীতির চূড়ায়। তাই আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যদি সঠিকভাবে যাছাই করা হয় তাহলে বাজার অনায়াসে ভালো হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যাছাই করার জন্য অডিটরসরা লাইসেন্স পেলেও তারা তা না করে অনৈতিকতা আড়াল করে। আবার কখনো কিভাবে দূর্ণীতি ...

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তৈরী আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যদি নিযুক্ত অডিটরসরা সঠিকভাবে যাছাই করে তাহলে পুঁজিবাজারে কোনো সমস্যা থাকবে না। অডিটরসদের খামখেয়ালিপনা তদারকি ও যাছাইবাছাই এর কারনে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আজ দূর্ণীতির চূড়ায়। তাই আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যদি সঠিকভাবে যাছাই করা হয় তাহলে বাজার অনায়াসে ভালো হয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সত্যতা যাছাই করার জন্য অডিটরসরা লাইসেন্স পেলেও তারা তা না করে অনৈতিকতা আড়াল করে। আবার কখনো কিভাবে দূর্ণীতি করা যাবে তা কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে শিখিয়ে দেয়। যার কারনে অডিটরসরা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারছে না। আর এই সুযোগে কর্তৃপক্ষ শেয়ারহোল্ডারদের টাকা যাচ্ছেতাইভাবে ব্যাবহার করছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানির তথ্য বিচার বিশ্লেষন করে বিনিয়োগ করার আহবান করেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের দাবি এমন কোনো কোম্পানি নেই বললেই চলে যেখানে কোম্পানির লভ্যাংশ, রাইট, বোনাসের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করা যায়। যার কারনে সবসময় আইটেমের খোজে থাকতে হয় কোনটির দাম বাড়বে। যার কারনে অনেক সময় অনেক লাভ আবার অনেক সময় অনেক লোকসানের কবলে পড়তে হয়।

অডিটরস যদি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করে তাহলে অবশ্যই বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ও চেহারা অনেকাংশে পাল্টে যাবে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। আর যেসব অডিটরস কোম্পানি থেকে সুবিধা নিতে ও কর্তৃপক্ষকে দিতে সাহায্য করে তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদানের দরকার বলে জানান। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

অডিটরসদের ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে যদি তারা কোম্পানির অনৈতিকতায় সহযোগিতা না করে। এক্ষেত্রে যেসব অডিটরসরা বাধা হয়ে দাড়ায় তাদেরকে আর নিয়োগ দেয় না কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যার ভয়ে অডিটরসরা কোম্পানির অনৈতিকতায় সাহায্য করে অন্যথায় বাদ পড়ে এবং নতুন করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের অনুগত হতে পারবে এমন অডিটরস নিয়োগ দেওয়া হয়। আর অডিটরস নিয়োগে শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন দিলেও মূল কাজটি কর্তৃপক্ষই করে। যেখানে কখনো কর্তৃপক্ষের বাহিরে যায় না কোনো সিদ্ধান্ত।

এদিকে অডিট রিপোর্ট বা আর্থিক প্রতিবেদন তৈরীর কাজে নিয়োজিত অডিট ফার্মগুলির দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না। অথচ তাদের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের কারণে বিনিয়োগকারীদেরকে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা অডিট ফার্মগুলির কর্মকান্ড কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার দাবী জানিয়েছেন এবং তাদের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবী করেছেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির আর্থিক শৃংখলা বজায় রাখা স্থিতিশীল পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠার আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে গতিশীল পুঁজিবাজার আশা করা দূরুহ হয়ে পড়বে। তাঁদের মতে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির আর্থিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য করে তৈরী করার ক্ষেত্রে অডিট ফার্মগুলির দায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তৈরীর কাজে নিয়োজিত অডিট ফার্মগুলির কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরী। তাদের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের শাস্তির বিধান রাখাও জরুরী।