অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দর পতনের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে বাজার সংশ্লিষ্টরা ভালোভাবে নেয়নি। এটা বুমেরাং হবে বলে জানিয়েছিল। যার সত্যতাও বাস্তবে দেখা গেল ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে লেনদেন হওয়া বৃহস্পতিবারের (২৫ এপ্রিল) বাজার চিত্রে। এদিন বিএসইসির খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে লেনদেনের শুরুতেই ৮০ পয়েন্ট নাই হয়ে যায়। যা দিনের শেষভাগে কিছুটা সাপোর্ট দিয়ে কমানো গেছে।

বুধবার বিকালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর পতনের ক্ষেত্রে নতুন ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দর পতনের ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে বাজার সংশ্লিষ্টরা ভালোভাবে নেয়নি। এটা বুমেরাং হবে বলে জানিয়েছিল। যার সত্যতাও বাস্তবে দেখা গেল ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে লেনদেন হওয়া বৃহস্পতিবারের (২৫ এপ্রিল) বাজার চিত্রে। এদিন বিএসইসির খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে লেনদেনের শুরুতেই ৮০ পয়েন্ট নাই হয়ে যায়। যা দিনের শেষভাগে কিছুটা সাপোর্ট দিয়ে কমানো গেছে।

বুধবার বিকালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর পতনের ক্ষেত্রে নতুন সার্কিট ব্রেকার বা সীমা নির্ধারন করে বিএসইসি। নতুন সীমায় একদিনে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ কমতে পারবে। যা আজ (২৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তকে বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মানতে পারেনি বাজার সংশ্লিস্টরা।

দেশের শেয়ারবাজার অনেকদিন ধরে পতনে রয়েছে। অথচ দায়িত্ব নেওয়ার পরে বর্তমান কমিশন দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছিল। যেখানে সূচক ১০ হাজারে যাবে এবং লেনদেন ছাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেশের শেয়ারবাজার এখন ৫ হাজার সূচকের পথে ধাবিত। আর লেনদেন ৫০০ কোটির কাছে।

গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক টানা ও ভয়াবহ পতনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিএসইর মূল্যসূচক ৬০ পয়েন্টের বড় পতন হয়েছে। এমন পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে।

শেয়ারবাজারের এমন পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। যারা চোখেমূখে অন্ধকার দেখছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। নিয়মিত সিকিউরিটিজ শুন্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার পোর্টফোলিও। কমিশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫১৮ পয়েন্টে। আজকের এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২১ সালের ৪ মে’র মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩ মে সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫৫১১ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে ৫১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৬০২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৬৯ টি বা ১৭.৪২ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩০০ টি বা ৭৫.৭৬ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ২৭ টি বা ৬.৮২ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার ১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩৩ টির, কমেছে ১৬১ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৫৮১৬ পয়েন্টে।