৬১ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিতে ৫০ কোটি গরমিল হিসাব

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলসের পরিশোধিত মূলধন খুবই কম। এ কারনে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। যাতে করে গত ২ বছরে ২৬ টাকার শেয়ারটি ৬ হাজার ২০০ টাকায় উঠে এসেছে। অথচ এ কোম্পানিটিতে পরিশোধিত মূলধনের ৮১ গুণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক।
শেয়ারবাজারে মাত্র ৬০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি ইউসুফ ফ্লাওয়ার। ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত ইউসুফ ফ্লাওয়ার মিলসের পরিশোধিত মূলধন খুবই কম। এ কারনে ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। যাতে করে গত ২ বছরে ২৬ টাকার শেয়ারটি ৬ হাজার ২০০ টাকায় উঠে এসেছে। অথচ এ কোম্পানিটিতে পরিশোধিত মূলধনের ৮১ গুণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক।
শেয়ারবাজারে মাত্র ৬০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি ইউসুফ ফ্লাওয়ার। ফলে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ লাখ ৬ হাজার ৮০০টি। এরমধ্যে অর্ধেকের বেশি বা ৫৩.৮৮ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। যাতে শেয়ারবাজারে ফ্রি ফ্লোট বা লেনদেনযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা খুবই কম। যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারকে ৬ হাজার টাকার উপরে নিয়ে এসেছে কারসাজি চক্র। এর মাধ্যমে ৬১ লাখ টাকার কম পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির বাজার মূলধন এখন ৩৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার মজুদ পণ্য দেখায়। তবে দেরিতে নিয়োগ দেওয়ায় নিরীক্ষক স্বশরীরে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেননি। যদিও ওই সময় আর্থিক হিসাবে উল্লেখিত পরিমাণ মজুদ পণ্য ছিল বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিরীক্ষককে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
এদিকে একই কারনে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করা ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা হাতে নগদ অর্থের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক। এছাড়া নিরীক্ষক ওই নগদের বিষয়ে পর্যাপ্ত ও সঠিক নিরীক্ষা প্রমাণাদি পায়নি। তাই আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করা নগদ অর্থের পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে কম বা বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
আকাশচুম্বি শেয়ার দর হলেও ইউসুফ ফ্লাওয়ারের লভ্যাংশ গতাণুগতিক। গত ৩ অর্থবছরে কোম্পানিটির লভ্যাংশ ১২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। যার পরিমাণ ২০২০-২১ অর্থবছরেও ১২ শতাংশ নগদ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০ শতাংশ নগদ ছিল।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটিতে ২ লাখ টাকার ‘ট্যাক্স হলিডে রিজার্ভ’ গঠন করা হয়েছে। যা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ৪৬এ ধারা অনুযায়ি বিতরণ করা দরকার। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি।