সুখী বড়ি ও ইমপ্লান্ট স্টিক উৎপাদনকারী টেকনো ড্রাগসের লেনদেন শুরু ১৪ জুলাই

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : টেকনো ড্রাগনের শেয়ার লেনদেনে শুরু হচ্ছে আগামি রবিবার (১৪ জুলাই)। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারে স্বাভাবিক বা ১০ শতাংশ হ্রাস-বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকার কার্যকর থাকবে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ১ম দুইদিন ৫০ শতাংশ দাবি করে আসছে। ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হতে যাওয়া কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড "TECHNODRUG" এবং কোম্পানি কোড ১৮৪৯৯।
ওষুধ রপ্তানিতে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। জীবনরক্ষাকারী ঔষধ উৎপাদন ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : টেকনো ড্রাগনের শেয়ার লেনদেনে শুরু হচ্ছে আগামি রবিবার (১৪ জুলাই)। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারে স্বাভাবিক বা ১০ শতাংশ হ্রাস-বৃদ্ধির সার্কিট ব্রেকার কার্যকর থাকবে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ১ম দুইদিন ৫০ শতাংশ দাবি করে আসছে। ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হতে যাওয়া কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড "TECHNODRUG" এবং কোম্পানি কোড ১৮৪৯৯।
ওষুধ রপ্তানিতে দেশের শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ওষুধ রপ্তানির মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে। জীবনরক্ষাকারী ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয় করে এবং লাভজনক কোম্পানি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুক বিল্ডিংয়ে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের প্রক্রিয়ায় থাকা টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) টাকার অঙ্কে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে। ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে কোম্পানিটির আইপিওতে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে। যা শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন পায় ওষুধ খাতের এই প্রতিষ্ঠান। যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করে প্রতিটি শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করে ৩৪ টাকা।
এর থেকে ৩০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৪ টাকা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও দাম নির্ধারিত হয়। গত ৯ থেকে ১৩ জুন আইপিওতে আবেদন করেন।
জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলণ করবে। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকার বিপরীতে ১০২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ১৮০ শেয়ারের মাধ্যমে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২৬টি আবেদনে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩১০ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, বিএমআরই (নরসিংদী কারখানা), ভবন নির্মাণ (গাজীপুর কারখানা), আংশিক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।
কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ২৭ টাকা ৭৪ পয়সা এবং পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ২২ টাকা ৫৭ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা, বিগত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে যা ৩ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
টেকনো ড্রাগস ২০১৪ সালে ওষুধ রপ্তানিতে চতুর্থ স্থান অর্জন করে। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। ২০০৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং ২০১৯ সালে প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানিতে রুপান্তরিত হয়।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মোট মূলধন প্রায় ৯৪ কোটি টাকা যার মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ৬৩ শতাংশসহ পরিচালনা পর্ষদের কাছে ৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
টেকনো ড্রাগস সাধারনত বিশেষায়িত পণ্য নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির অনকোলজির ক্যামোথেরাপি, অ্যানেস্থেসিয়া বা চেতনানাশক, জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল, ইনজেকশন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন) রয়েছে। এছাড়াও ভেটেনারি ও সাধারন হিউম্যান মেডিসিনও রয়েছে।
ইমপ্ল্যান্ট স্টিক যা বাংলাদেশে একমাত্র টেকনো ড্রাগস উৎপাদন করে। এটি ৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রধান ওষধ সমূহগুলো হলো- জন্ম নিয়ন্ত্রন মেডিসিন- সুখী থার্ড জেনারেশন ওরাল পিল, প্রোভেরা ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট স্টিক (৫ বছরের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রন), এন্টিক্যান্সার মেডিসিন- হেরিটিন, জোলোমাইড, ইপোসাইড, চেতনানাশক মেডিসিন- লিডোসিন প্লাস ইনজেকশন, ভেনকুরোন ১০টিভি ইনজেকশন, সাধারন হিউম্যান মেডিসিন- মোটিলেক্স সাসপেনশন, ওমিসেক, রোমিলেক, সেফিক্সোন ইনজেকশন, ভেটেনারি মেডিসিন- ভারমিক ইনজেকশন, ডেক্সাভেট ইনজেকশন, রুমেন প্লাস পাউডার, ভিটা জিংক।