কৃষিবিদ ফিড ও সীড ছেড়ে দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত করে কৃষিবিদ ফিড ও কৃষিবিদ সীডের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নানা অনিয়মে জড়ায়। যারা কোম্পানি থেকে অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়া সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদেরকে ফাঁদে ফেলেছেন। যে ফাঁদে পড়ে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যে কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য শেয়ারবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এরইমধ্যে কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তারা তাদের অনেক শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। যাতে করে কোম্পানি দুটিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারন অনেক ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্ত করে কৃষিবিদ ফিড ও কৃষিবিদ সীডের উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা নানা অনিয়মে জড়ায়। যারা কোম্পানি থেকে অর্থ আত্মসাত করেছেন। এছাড়া সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদেরকে ফাঁদে ফেলেছেন। যে ফাঁদে পড়ে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যে কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য শেয়ারবাজার থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এরইমধ্যে কোম্পানি দুটির উদ্যোক্তারা তাদের অনেক শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। যাতে করে কোম্পানি দুটিতে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ার ধারন অনেক কমে এসেছে। যে কোম্পানি দুটিতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের মালিকানাই এখন বেশি।
কোম্পানি দুটির মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদ ফিডের পরিচালকেরা ১০% নগদের পাশাপাশি ২% বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোম্পানিটির বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুযোগ ছিল না। যা ২ মে বিএসইসি থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কোম্পানিগুলোতে স্বচ্ছতার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের উপরে লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদে না করার নিষেধাজ্ঞা আছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে বলা হয়েছে। যাতে টাকার অপব্যবহার ও আত্মসাত না হয়। কিন্তুকৃষিবিদ ফিড কর্তৃপক্ষ নগদে লেনদেন করে।
২০২১ সালে এসএমইতে তালিকাভুক্ত হওয়া কৃষিবিদ ফিডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৯.৩৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। এ কোম্পানিটির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।
একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি কৃষিবিদ সীডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৬২.৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। এ কোম্পানিটির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে।
কৃষিবিদ ফিড : ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ড. মো. মুশহেররফ হুসাইন ১১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় কোম্পানি থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার যাত্রা। এরপরে ৯ মার্চ উদ্যোক্তা জিন্নাত আরা ১ লাখ ৫০ হাজার, ১১ এপ্রিল সায়েদা সালেহা বেগম ৫০ হাজার শেয়ার, মহিউদ্দিন মোস্তফা ৫০ হাজার ও মো. মোসাদ্দেক আলী ৫০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপরে চলতি বছরের ২১ মার্চ কর্পোরেট উদ্যোক্তা কৃষিবিদ ফার্ম ৫ লাখ শেয়ার, ২১ এপ্রিল উদ্যোক্তা আনিকা আঞ্জুম ৩০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। যেগুলো পরবর্তীতে বিক্রি করা হয়েছে।
কৃষিবিদ সীড : একই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ও প্লেসমেন্টহোল্ডার কৃষিবিদ ট্রেডিং গত বছরের ১৩ এপ্রিল ১০ লাখ শেয়ার ও ২৩ মে ১৪ লাখ শেয়ার, ২১ সেপ্টেম্বর উদ্যোক্তা/পরিচালক গ্লোরিয়াস ল্যান্ডস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ১০ লাখ শেয়ার, ১৫ অক্টোবর ১৫ লাখ শেয়ার, ১৭ ডিসেম্বর ১০ লাখ শেয়ার, চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল কর্পোরেট পরিচালক কৃষিবিদ ফার্ম ২ লাখ শেয়ার, ২৩ এপ্রিল উদ্যোক্তা মো. আব্দুল্লাহ-হিল-হাফিজ ৬০ হাজার শেয়ার, ২৪ এপ্রিল উদ্যোক্তা শাহিনা জাহান ৫০ হাজার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেন। যেগুলো পরবর্তীতে বিক্রি করা হয়েছে।