অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কারসাজিকর হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম আবুল খায়ের হিরু। যিনি এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কারসাজির দায়ে আর্থিক জরিমানার কবলে পড়েছেন। এছাড়া খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন এরইমধ্যে তার ও পরিবারের সদস্যদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব (বিও অ্যাকাউন্ট) জব্দ করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

কিন্তু হিরু এককভাবে কারসাজিকর হয়ে উঠেনি। হওয়া সম্ভবও ছিল না। তাকে ফান্ড দিয়ে এবং তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ার ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কারসাজিকর হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নাম আবুল খায়ের হিরু। যিনি এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কারসাজির দায়ে আর্থিক জরিমানার কবলে পড়েছেন। এছাড়া খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন এরইমধ্যে তার ও পরিবারের সদস্যদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব (বিও অ্যাকাউন্ট) জব্দ করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

কিন্তু হিরু এককভাবে কারসাজিকর হয়ে উঠেনি। হওয়া সম্ভবও ছিল না। তাকে ফান্ড দিয়ে এবং তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে শেয়ার কিনে কারসাজি করেছে এবং হিরুকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছে অনেকে। এদের মধ্যে অন্যতম এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল ও পরিচালক আদনান ইমাম। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। যারা হিরুর সব কারসাজির শেয়ারেই নিজস্ব ও ব্যাংকের অর্থায়নের মাধ্যমে দর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন।

আদনান ইমাম শেয়ারবাজারের আরেক কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের উদ্যোক্তা। এরা নিজস্ব এবং কোম্পানি দুটির ফান্ড থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে কারসাজিতে সহযোগিতা করেছে।

এই ২জনের মালিকানাধীন জেনেক্স ইনফোসিস ও এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার নিয়েও কারসাজি করা হয়েছে। শেয়ার কারসাজিতে ২টি শেয়ারই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

হিরুকে শাস্তির আওতায় আনা হলেও ওইসব সহযোগিদের এখনো আনা হয়নি। তবে হিরুর ওইসব সহযোগিরা শাস্তির ভয়ে রয়েছে। যে কারনে কেউ আঁড়ালে এবং কেউ বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নিজেদের রং বদলানোর চেষ্টা করছে। বাজারে অনেকটা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় তারা। তবে বিএসইসির নতুন কমিশন দোষী সবাইকেই শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।

ডিএসইর এক পরিচালক অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, আবুল খায়ের হিরুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামদের মতো অনেকে রয়েছে। এরা সবচেয়ে বেশি মুনাফাভোগী। শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোকেও ব্যবহার করেছে নিজেদের স্বার্থে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্থ বিনিয়োগ করে ওইসব কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদেরকেই ঝুঁকিতে ফেলে দেয় এরা। তবে কোম্পানিগুলো শেয়ার ব্যবসায় লোকসান করলেও আদনান, তমালদের তেমন ক্ষতি হতো না। কারন ওইসব কোম্পানি থেকে যে দরে কারসাজির শেয়ার কেনা হয়েছিল, সেগুলো তারা আগেই কম দামে কিনে নেয়। এক্ষেত্রে সবার আগে তারা নিজেদের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নেয়। এখন সময় এসেছে হিরুর মতো তার সহযোগিদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা। না হলে শেয়ারবাজারে সুশাষন ফিরবে না।