অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ও আত্মসাতের কারনে ধংসের পথে কোম্পানিটি। যে কোম্পানিটি থেকে ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডসের মতো একটি ব্রোকারেজ হাউজকে ৩০২ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যা আদায় নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এছাড়া অন্যসব প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত ঋণের ৯৭ শতাংশের বেশি খেলাপি হয়ে গেছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে বনানিতে ৫৪৮৩ স্কয়ার ফিটের ফ্লোর ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি ও আত্মসাতের কারনে ধংসের পথে কোম্পানিটি। যে কোম্পানিটি থেকে ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডসের মতো একটি ব্রোকারেজ হাউজকে ৩০২ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। যা আদায় নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এছাড়া অন্যসব প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত ঋণের ৯৭ শতাংশের বেশি খেলাপি হয়ে গেছে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে বনানিতে ৫৪৮৩ স্কয়ার ফিটের ফ্লোর স্পেস কর্পোরেট অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স। যা কেনা সত্ত্বেও এখনো কোম্পানির নামে রেজিস্টার করা হয়নি। যে কারন দেখিয়ে ওই সম্পদের উপর অবচয় চার্জ করে না ফারইস্ট ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ। তবে এটা আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-১৬ এর লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। এর মাধ্যমে কোম্পানি মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন

ঝুঁকিতে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের বিনিয়োগের ৫৫ শতাংশ

ফারইস্ট ফাইন্যান্স থেকে সহযোগি কোম্পানি ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডসে ৩০২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্রোকারেজ হাউজটি ঋণের বিষয়ে নিরীক্ষককে নিশ্চিত করেননি। কোম্পানি দুটির এই অসঙ্গতি ঋণ আদায় নিয়ে শঙ্কা তৈরী করেছে।

লিজিং কোম্পানিটির ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রদত্ত ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৮৭৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা বা ৯৭.৪৩% খেলাপি।

এই ঋণের বিপরীতে জামানত নেওয়া জমি ও ভবনের মূল্যায়ন করা হয়নি কোন ভ্যালুয়েশন ফার্ম বা ৩য় পক্ষ দ্ধারা। যা ফারইস্ট ফাইন্যান্সের কর্মীদের দ্ধারা মূল্যায়ন ও পর্ষদের অনুমোদন করানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬০.২৬ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪.৩০ টাকায়।