অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : দেশের ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৩ শতাংশ পণ্য বিক্রি বেড়েছে। তবে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। যার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান অনেক কমে আসা। এছাড়া উৎপাদন ব্যয়ের হার কমে আসা এবং সুদজনিত আয় বৃদ্ধিতে মুনাফা বেড়েছে।

দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওয়ালটনের ৭ হাজার ৫১২ কোটি ১২ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৬ হাজার ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : দেশের ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৩ শতাংশ পণ্য বিক্রি বেড়েছে। তবে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। যার পেছনে প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান অনেক কমে আসা। এছাড়া উৎপাদন ব্যয়ের হার কমে আসা এবং সুদজনিত আয় বৃদ্ধিতে মুনাফা বেড়েছে।

দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওয়ালটনের ৭ হাজার ৫১২ কোটি ১২ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে পণ্য বিক্রি বেড়েছে ৮৭৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বা ১৩ শতাংশ।

তবে কোম্পানিটির নিট মুনাফায় বিক্রির তুলনায় বেশি উত্থান হয়েছে। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৭৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বা ৭৩ শতাংশ।

ওয়ালটনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৪৪.৭৮ টাকায়। যা আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৭৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ২৫.৮৪ টাকা।

বিক্রি ১৩% বাড়লেও কোম্পানিটির মুনাফায় বড় উল্লম্ফনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারন হিসেবে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান কমে আসা। এছাড়া সুদজনিত আয় বৃদ্ধি ও ওপারেটিং প্রফিট মার্জিন ২৩.৪৬ শতাংশ থেকে ২৫.০২ শতাংশে বৃদ্ধিতে নিট মুনাফা বেড়েছে।

ওয়ালটনের আগের অর্থবছরে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত লোকসান হয়েছিল ৪৬৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যার পরিমাণ কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নেমে এসেছে ১৫৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান কমেছে ৩১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বা ৬৬ শতাংশ।

এদিকে ওয়ালটনের আগের অর্থবছরে ৬৪.৮২ শতাংশ হারে উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল। যার পরিমাণ কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছে ৬১.৮৬ শতাংশ। আর ৩ কোটি ২২ লাখ টাকার সুদজনিত আয় বেড়ে হয়েছে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

ওয়ালটনের মুনাফায় এই উত্থানের কারন হিসেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত লোকসান কমে আসাকে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ওপারেটিং প্রফিট মার্জিন বৃদ্ধিকে কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে। যা ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ১.৪৯ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (০৫ অক্টোবর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৫৫৭.২০ টাকায়।