শেখ কবিরের সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে কোটি কোটি টাকার গরমিল

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শেখ কবির হোসেনের নেতৃত্বাধীন সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে কোটি কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালন না করা, শ্রম আইনের ব্যত্যয় ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্দেশনা পরিপালন না করার মতো ঘটনা রয়েছে বীমা কোম্পানিটিতে।
কোম্পানিটির ২০২৩ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষক।
সাবসিডিয়ারি সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শেখ কবির হোসেনের নেতৃত্বাধীন সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে কোটি কোটি টাকার গরমিল পেয়েছে নিরীক্ষক। এছাড়া বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা পরিপালন না করা, শ্রম আইনের ব্যত্যয় ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্দেশনা পরিপালন না করার মতো ঘটনা রয়েছে বীমা কোম্পানিটিতে।
কোম্পানিটির ২০২৩ সালের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষক।
সাবসিডিয়ারি সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বোনাস শেয়ার পেয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। ওই বোনাস শেয়ারকে বিনিয়োগ ও আয় হিসেবে দেখায় বীমা কোম্পানিটি। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১ কোটি ৮৯ কোটি টাকার সম্পদ ও ইক্যুইটি বেশি দেখানো হয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বীমা কোম্পানিটিতে সমন্বিত হিসাবে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নন কন্ট্রোলিং ইন্টারেস্ট (সাবসিডিয়ারির যেটুকুর মালিকানা নেই) ১১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কম দেখানোর বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বীমা কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট।
এই বীমা কোম্পানিটিতে অবন্টিত লভ্যাংশ নিয়ে রয়েছে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয়। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি, অবন্টিত লভ্যাংশ পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখতে হয়। কিন্তু এই পৃথক হিসাবে কোম্পানিটির অবন্টিত লভ্যাংশের ৫০ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন.....
শ্রম আইনও পরিপালন করছে না সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালের শ্রম আইন অনুযায়ি নিট মুনাফার ৫ শতাংশ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করতে হয়। তবে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ তা করে না।
এদিকে আইডিআরএ এসআরও অনুযায়ি, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স সম্পদের ২০% সাবসিডিয়ারিতে বিনিয়োগ করতে পারবে। কিন্তু বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করেছে ২৯.২৮%।
নিরীক্ষক জানিয়েছে, বীমা কোম্পানি আইন ২০১০ অনুযায়ি উদ্যোক্তা/পরিচালকদের নন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে শেয়ার ধারন থাকতে হবে ৬০%। কিন্তু সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের এ শেয়ার ধারনের হার ৩৯.৫৪%।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪২ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির বুধবার (১৬ অক্টোবর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২২.৯০ টাকায়।