আইপিও পূর্ব ৪৭ কোটি টাকার মুনাফা এখন লোকসান ৯৯ কোটি

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পারফরমেন্স দেখিয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন শেয়ারবাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি ৩১ টাকা করে ইস্যু করে। তবে শেয়ারবাজারে আসার পরে কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ৪৭ কোটি টাকা মুনাফা এখন ৯৯ কোটির লোকসানে নেমে এসেছে। অথচ ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৫.১৮ টাকা হিসাবে ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : আকর্ষণীয় ব্যবসায়িক পারফরমেন্স দেখিয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন শেয়ারবাজারে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি ৩১ টাকা করে ইস্যু করে। তবে শেয়ারবাজারে আসার পরে কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব ৪৭ কোটি টাকা মুনাফা এখন ৯৯ কোটির লোকসানে নেমে এসেছে। অথচ ব্যবসা সম্প্রসারণে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৫.১৮ টাকা হিসাবে ৯৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। অথচ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিট ৪৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল। অর্থাৎ শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পরে ব্যবসায় পতন ৩১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন......
৭৫ টাকা কাট-অফ প্রাইসের রানার টানা লোকসানে
৮০ টাকা কাট-অফ প্রাইসের বসুন্ধরার ‘নো’ ডিভিডেন্ড
প্রিমিয়ামে ১৫০ কোটি টাকা নেওয়া লুব-রেফ ৩ বছরেই লোকসানে
এ কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে প্রবেশের প্রথম বছরেই ব্যবসায় বড় পতন হয়। ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির আইপিও পূর্ব বা প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা ৩.৮৩ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২০২০-২১ অর্থবছরে নেমে আসে ২.০৩ টাকায়। যে ইপিএস ২০২১-২২ অর্থবছরে মাত্র ০.৩৮ টাকায় নেমে এসেছিল। এরপরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ২.৩৬ টাকা দিয়ে লোকসানে যাত্রা শুরু। যা সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরও বেড়ে শেয়ারপ্রতি ৫.১৮ টাকা লোকসান হয়েছে।
ব্যবসায় এই পতনের কারন হিসেবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার কর্তৃপক্ষ বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, বাজারে ধীরগতি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, উচ্চ সুদহার, জ্বালানির দর বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে উল্লেখ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, টাকার মূল্যমান হ্রাস, সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা ও পণ্য আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি কোম্পানির লোকসানের কারন হিসেবে উল্লেখ করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৩৫ টাকা করে যোগ্য বিনিয়োগকারী ও ৩১ টাকা করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যুর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এই বিনিয়োগের বিপরীতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যবসায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোন লভ্যাংশ নেই। অথচ যেকোন ব্যাংকে এফডিআর করলে ৩৫ টাকায় ৩.৫০ টাকা পাওয়া সম্ভব।
এর আগের অর্থবছরের ব্যবসায় ৫ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ০.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
ইস্যু ম্যানেজার লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে বুক বিল্ডিংয়ে শেয়ারবাজারে আসে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৪.৩০ টাকায়।
এনার্জিপ্যাকে লভ্যাংশ না পেয়ে লোকসানের পাশাপাশি বড় ক্যাপিটাল লোকসানের মুখে বিনিয়োগকারীরা। ৩৫ টাকার শেয়ারটিতে বিনিয়োগকারীদের নাই ২০.৭০ টাকা বা ৫৯ শতাংশ।