সিটিও জিয়ার ডিএসইতে ফিরে আসার সুযোগ নেই

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মো. জিয়াউল করিম-কে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, মো. জিয়াউল করিমের অভিযোগের যথার্থতা আমরা পায়নি। সিটিও নিয়োগের যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি চলমান আছে। কোনো অদক্ষ, খারাপ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মো. জিয়াউল করিম-কে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, মো. জিয়াউল করিমের অভিযোগের যথার্থতা আমরা পায়নি। সিটিও নিয়োগের যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি চলমান আছে। কোনো অদক্ষ, খারাপ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা ক্লাবে ‘পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান, হাবিবুর রহমান, ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী ও মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই থেকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো সাবেক সিটিও মো. জিয়াউল করিম আবারও ডিএসইতে ফিরে আসতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসইর সিটিও’র বিষয়ে আমাদের জবাব বিএসইসিকে দিয়েছি। আমাদের ডিএসই বোর্ডের কাছেও উনি (মো. জিয়াউল করিম) অভিযোগ করেছিলেন। আমরা অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখেছি। উনার অভিযোগের যথার্থতা আমরা পায়নি। সে ক্ষেত্রে আমাদের নিয়োগের যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি চলমান আছে। আমরা আশাকরি কোনো অদক্ষ, খারাপ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ডিএসইর সিটিও মো. জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। ওই দিন কমিশন সভা করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম।
এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ : তদন্তে দুদক
কমিশন সভা শেষে বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন বাধাগ্রস্ত হয় এবং পূর্বেও বিভিন্ন কমিটি ডিএসইর আইটি কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, এ তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডিএসইর সিটিও বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে থাকবেন।
তবে সম্প্রতি মো. জিয়াউল করিম অর্থ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন প্রচলিত আইন ভেঙে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান, উপ-পরিচালক মুহাম্মাদ ওয়ারিসুল হাসান রিফাত এবং সহকারী পরিচালক নাভিদ হাসান খান।