সেনসেক্স কমল ১০৪৯ পয়েন্ট, এক দিনে গায়েব ১৩ লাখ কোটি

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ফের সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে ভারতের শেয়ারবাজার রক্তাক্ত। হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ল সেনসেক্স সূচক। এতে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও থেকে একদিনেই নাই ১৩ লাখ কোটি টাকা। এই নিয়ে টানা চারদিন নিম্নমুখী রইল ভারতের শেয়ারবাজারের গ্রাফ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) থেকে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা বাজার মূলধন নাই হয়ে গেছে। যা শেষ ৪ কার্যদিবসে হয়েছে ২৫ লাখ কোটি টাকা।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোরর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিএসইতে ছোট ও ...
অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ফের সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে ভারতের শেয়ারবাজার রক্তাক্ত। হাজার পয়েন্টের বেশি পড়ল সেনসেক্স সূচক। এতে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও থেকে একদিনেই নাই ১৩ লাখ কোটি টাকা। এই নিয়ে টানা চারদিন নিম্নমুখী রইল ভারতের শেয়ারবাজারের গ্রাফ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) থেকে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা বাজার মূলধন নাই হয়ে গেছে। যা শেষ ৪ কার্যদিবসে হয়েছে ২৫ লাখ কোটি টাকা।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোরর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির কোম্পানিগুলোর সূচক নেমেছে ৪ শতাংশ। এই শেয়ার বাজারের মূলধন ছিল ৪৩০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সোমবার লেনদেন শেষে নেমে এসেছে ৪১৭ লক্ষ কোটিতে।
অন্যদিকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) শ্রেণিভেদে নীচের দিকে নেমেছে প্রায় সব স্টক।
এদিন ৭৬,৩৩০.০১ পয়েন্টে গিয়ে বন্ধ হয় সেনসেক্স সূচক। অর্থাৎ সেনসেক্স সূচক কমেছে ১০৪৮.৯০ পয়েন্ট। আর এনএসইর নিফটি-৫০ সূচক থেমেছে ২৩,০৮৫.৯৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ এ সূচক কমেছে ৩৪৫.৫৫ পয়েন্ট।
ভারতের শেয়ারবাজারে এই পতনের পেছনে কয়েকটি কারন রয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে-সোমবার বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যায়। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দর ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের উপরে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। এতে মস্কো থেকে সস্তা দরে অপরিশোধিত ‘তরল সোনা’ আমদানিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া ডলারের বিপরীতে সর্বকালীন নীচে নেমে গেছে ভারতীয় টাকার দাম। বর্তমানে এটি ৮৫ থেকে ৮৬ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। অন্য দিকে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।