উচ্চমূল্যে শেয়ার ইস্যু করা পেনিনসুলার লোকসান, প্রিমিয়ামে আসছে লা মেরিডিয়ান

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ম ও শেষ প্রান্তিকের ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। যাতে কোম্পানিটির অর্থবছরটিতে লোকসান হয়েছে। এতে করে উচ্চমূল্যে শেয়ারবাজারে শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো লোকসান গুণল। যদিও কোম্পানিটির আগের বছরগুলোতে মুনাফা ছিল নামমাত্র।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হোটেলগুলোর ব্যবসা খুব বেশি ভালো না। এরমধ্যে বিডি সার্ভিসেস ও পেনিনসুলার অবস্থাতো খুবই বাজে। শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ারবাজারে আসা সী পার্ল বীচ ...
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ম ও শেষ প্রান্তিকের ব্যবসায় লোকসান হয়েছে। যাতে কোম্পানিটির অর্থবছরটিতে লোকসান হয়েছে। এতে করে উচ্চমূল্যে শেয়ারবাজারে শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো লোকসান গুণল। যদিও কোম্পানিটির আগের বছরগুলোতে মুনাফা ছিল নামমাত্র।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হোটেলগুলোর ব্যবসা খুব বেশি ভালো না। এরমধ্যে বিডি সার্ভিসেস ও পেনিনসুলার অবস্থাতো খুবই বাজে। শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে শেয়ারবাজারে আসা সী পার্ল বীচ বিনিয়োগকারীদের তুলনামূলক লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। আর উচ্চমূল্যে শেয়ার ইস্যু করা ইউনিক হোটেলও ইস্যু দরের তুলনায় পারফরমেন্স করতে পারছে না। এরমধ্যে শেয়ারবাজার থেকে প্রিমিয়ামে লা মেরিডিয়ানকে ৩৫০ কোটি টাকার বিশাল অর্থ তোলার অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা শেয়ারবাজারে প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে ইস্যুর মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কোম্পানিটির সেসময় আইপিওতে আসার আগে (২০১২-১৩ অর্থবছর) ইপিএস হয়েছিল ২.৪৯ টাকা। সেই কোম্পানিটির ইপিএস তালিকাভুক্তির পরে বিগত ৬ অর্থবছরের ন্যায় ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ টাকার কম ছিল। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আরেক ধাপ নেমে লোকসান হয়েছে।
কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল (০.৩৩) টাকা। তবে ২য় প্রান্তিকে ০.০৮ টাকা ও ৩য় প্রান্তিকে ০.০৫ টাকা মুনাফা হয়। কিন্তু ৪র্থ প্রান্তিকে (০.১৪) টাকা লোকসান হয়। যাতে করে অর্থবছরটিতে শেয়ারপ্রতি (০.৩৪) টাকা লোকসান হয়েছে। কিন্তু ওইসময়ে দেশের হোটেল ব্যবসা ছিল স্বাভাবিক।
মুনাফায় এই পতনের কারন হিসেবে পেনিনসুলা কর্তৃপক্ষ সুদজনিত ব্যয় বৃদ্ধি ও সুদজনিত আয় হ্রাসকে উল্লেখ করেছেন।
কোম্পানিটির আগের বছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় পতন হয়েছে। আগের অর্থবছরের ০.১৯ টাকার ইপিএস এ বছর (০.৩৪) টাকার লোকসানে নেমেছে।
কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ কোটি ৩ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। এই লোকসানের কারনে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পেনিনসুলা চিটাগাংকে শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের বর্তমানে ১১৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৭.৪০ টাকায়।