অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। এক্ষেত্রে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে কমিশনের পরিবর্তন আনা হয়। তবে এই পরিবর্তনের পরে শেয়ারবাজারের কেউই ভালো নেই। শুধু স্টেকহোল্ডাররাই না, স্বয়ং বিএসইসিতে তৈরী হয়েছে অন্ত:কলহ। যা বিএসইসির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের শঙ্কা পর্যন্ত তৈরী করেছে।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে স্টেকহোল্ডারদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ তাদের যোগ্যতা নিয়ে। ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। এক্ষেত্রে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে কমিশনের পরিবর্তন আনা হয়। তবে এই পরিবর্তনের পরে শেয়ারবাজারের কেউই ভালো নেই। শুধু স্টেকহোল্ডাররাই না, স্বয়ং বিএসইসিতে তৈরী হয়েছে অন্ত:কলহ। যা বিএসইসির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের শঙ্কা পর্যন্ত তৈরী করেছে।

খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে স্টেকহোল্ডারদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ তাদের যোগ্যতা নিয়ে। বর্তমান কমিশন শেয়ারবাজার বুঝেন না বলেই সবার অভিযোগ। তাই এই কমিশনের নিয়োগের ৬ মাসে শেয়ারবাজারে তৈরী হয়েছে শুধুই হতাশা। তাই শুরু থেকেই এই কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে আসছে বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে বিএসইসির ভিতরেও তৈরী হয়েছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুরত্ব। যা শুরু হয়েছে বিএসইসির অন্যতম যোগ্য নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার মধ্য দিয়ে। এরপরে নতুন কমিশনের শেয়ারবাজার নিয়ে নতুনত্ব কিছু দিতে না পারা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে স্বাধীনতা হ্রাস, ১২ কোম্পানির তদন্তের আলোকে দুই ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চরম পর্যায়ে পৌছেছে দুরত্ব।

রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নিয়েই গত বছরের ২২ আগস্ট সাইফুর রহমানকে ইস্যুয়ার কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে আরঅ্যান্ডডি বিভাগের দায়িত্ব দেয়। তখনই মূলত তাকে এক প্রকার ওএসডি করা হয়। তবে ৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে সাইফুর রহমান নিয়মিত অফিসে আসছেন, কিন্তু কোন কাজ করতে পারছেন না।

বর্তমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কমিশনারদের সম্পর্ক্য এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, যেখানে বিএসইসিতে কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সবার মধ্যেই নেমে এসেছে একরকম আতঙ্ক। এরমধ্যে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের খারাপ ব্যবহারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা চরমে বিরাজ করছে।

বিএসইসির এক কর্মকর্তা অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে যেমন বর্তমান কমিশন নিয়ে হতাশা আছে, একইভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও আছে। এরমধ্যে অন্যতম কারন কমিশনারদের খারাপ ব্যবহার ও ১২ কোম্পানির তদন্তের আলোকে ২ ডজনকে শোকজ করা। সব মিলিয়ে এক বাজে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএসইসিতে। বর্তমানে বিএসইসিতে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সঙ্গে কর্মকর্তা-করমচারীদের সম্পর্ক্য এমন পর্যায়ে গেছে, যেখানে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের বিরুদ্ধে সামনে আন্দোলন দেখা যেতে পারে। হয়তো বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে চেয়ারম্যান-কমিশনারদের বিরুদ্ধে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন করবে।