মাকসুদ কমিশন সরছে না : পতনও থামছে না

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত ৭ কার্যদিবসের টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তোলার পরে বুধবার উত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এদিন বাজারে ইতিবাচক রাখার জন্য অনেক চেষ্টাও করা হয়। এতে করে দিনের বেশিরভাগ সময় ইতিবাচক ছিল। তবে দিন শেষে গিয়ে ঋণাত্মক হয়ে গেছে।
মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের উপরে আস্থা নেই বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই। যাতে করে গত ৮ কার্যদিবস ধরে টানা পতনে রয়েছে শেয়ারবাজার। এই ৮ কার্যদিবসের পতনে অসংখ্য বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত ৭ কার্যদিবসের টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস তোলার পরে বুধবার উত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এদিন বাজারে ইতিবাচক রাখার জন্য অনেক চেষ্টাও করা হয়। এতে করে দিনের বেশিরভাগ সময় ইতিবাচক ছিল। তবে দিন শেষে গিয়ে ঋণাত্মক হয়ে গেছে।
মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের উপরে আস্থা নেই বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই। যাতে করে গত ৮ কার্যদিবস ধরে টানা পতনে রয়েছে শেয়ারবাজার। এই ৮ কার্যদিবসের পতনে অসংখ্য বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। অথচ তার পদত্যাগে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক ১ হাজার বাড়বে বলে বিশ্বাস করেন বিনিয়োগকারীরা।
বিভিন্ন সময় বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, মাশরুর রিয়াজকে নিয়ে সামান্য বিতর্ক উঠতেই তিনি আর বিএসইসিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেননি। অথচ এখন সবাই মাকসুদের বিপক্ষে এবং তার পদত্যাগ চায়। কিন্তু তারপরেও নির্লজ্জ মাকসুদ পদত্যাগ করছেন না। এ থেকেই তার অযোগ্যতার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব না থাকার বিষয়টিও ফুঁটে উঠেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান কমিশনের উপর কারোরই আস্থা নেই। এই কমিশন শেয়ারবাজারের কিছুই বুঝে না। এখন কেউই রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে চাচ্ছেন না। যাদের পদত্যাগে শেয়ারবাজারে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব। এসব কিছু মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন জানেও। তারপরেও তারা নির্লজ্জভাবে চেয়ার আকড়ে ধরে রেখেছে।
বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫০২২ পয়েন্টে। যা মঙ্গলবার ১৮ পয়েন্ট, সোমবার ৩০ পয়েন্ট, রবিবার ২৩ পয়েন্ট এবং আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৮ পয়েন্ট, বুধবার ২৬ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৩৮ পয়েন্ট ও সোমবার ৩৬ পয়েন্ট কমেছে। এই ৮ কার্যদিবসে ১৮৩ পয়েন্টের পতনে অনেক বিনিয়োগকারী দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এদিন ডিএসইতে ৩০০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩৪০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বা ১২ শতাংশ।
বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১৯ টি বা ৩০.১৩ শতাংশের। আর দর কমেছে ২১৪ টি বা ৫৪.১৮ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬২ টি বা ১৫.৭০ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসইতে বুধবার ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৭ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৭৩ টির, কমেছে ১১৪ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২০ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০০২ পয়েন্টে।
আগেরদিন সিএসইতে ৬ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৫৪ পয়েন্ট কমেছিল।