খেলাধূলা ডেস্ক : অন্য সব ক্রিকেটারের সাথে তার একটা বড় পার্থক্য আছে। তিনি শুধুই ক্রিকেটার নন, ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও খেলতেন। ঢাকার ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগেও খেলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

পাকিস্তান আমলে ৫০ ও ৬০ দশকের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শক্তি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের হয়ে আশির দশকের শেষভাগে ঢাকার ক্লাব ফুটবলের প্রধান আসর সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে নিয়মিত খেলেছেন বুলবুল।

ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ‘অর্জুন পুরস্কার’ পাওয়া সাব্বির ...

খেলাধূলা ডেস্ক : অন্য সব ক্রিকেটারের সাথে তার একটা বড় পার্থক্য আছে। তিনি শুধুই ক্রিকেটার নন, ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও খেলতেন। ঢাকার ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগেও খেলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

পাকিস্তান আমলে ৫০ ও ৬০ দশকের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শক্তি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের হয়ে আশির দশকের শেষভাগে ঢাকার ক্লাব ফুটবলের প্রধান আসর সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগে নিয়মিত খেলেছেন বুলবুল।

ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের সবসময়ের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ‘অর্জুন পুরস্কার’ পাওয়া সাব্বির আলী ছিলেন ভিক্টোরিয়ায় তার স্ট্রাইকিং পার্টনার। তাই ঢাকা স্টেডিয়ামের সাথে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাড়ির সম্পর্ক।

এক সময় এই স্টেডিয়াম চত্বর ছিল তার প্রতিদিনকার গন্তব্য। ঢাকা স্টেডিয়ামের পাশাপাশি এই এলাকায় স্থাপিত ক্রীড়া সাংবাদিকদের ২ পুরোন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা ‘বিএসজেএ’ আর বাংলাদেশ প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘বিএসপিএ’ অফিসে এসে এক কাপ চা খাওয়া এবং সাংবাদিকদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করাটা তার অনেক দিনের অভ্যাস।

খেলা ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হওয়ার পর যতবার বাংলাদেশে এসেছেন, প্রায় প্রতিবার বিএসজেএ ও বিএসপিএ অফিসে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেছেন বুলবুল।

আজ ১ জুন কুল বিএসজেএ মিডিয়া ফুটবলের ফাইনাল শেষে বিএসজেএর প্রীতি ভোজ ছিল। আর তিনি এসেছিলেন এনএসসিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে। তারপর বেলা ৪টার দিকে হঠাৎ বিসিবি ডিরেক্টর মঞ্জুরুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে বিএসজেএ চলে আসলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি।

আচরণ, কথাবার্তা ও শরীরী ভাষা ঠিক একদম সেই আগের মতই। বরাবরের বিনয়ী বুলবুল আজও সেই রকম নম্র। সবার সঙ্গে কথা বললেন বিনয় আর সৌজন্যতাবোধ নিয়ে। পূর্ব পরিচিতজনদের সঙ্গে এমনভাবে মিশে গেলেন, দেখে বোঝার উপায় ছিল না তিনি দেশে থাকেন না। যেচে সবার খোঁজখবর নিলেন। হাসিমুখে কথা বললেন।

ওদিকে মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে একটা মিটিং আছে। তার জন্য বসে আছেন ক্রিকেটেরই লোকজন। সময় নিয়ে বসা ও কথা বলা কঠিন। সাংবাদিকদের অনুরোধ রেখে খানিকক্ষণ বসলেন। কথাও বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

মাঠের ঘাসের সঙ্গে তার সম্পর্ক। বাংলাদেশের বাংলাদেশের ক্রিকেটের উত্তরন, উন্নয়ন ও টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তি-সব কিছুর সঙ্গেই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত বুলবুলের নাম। তাই দেশের ক্রিকেটে ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভূমিকা সম্পর্কেও তার ধারণা খুব পরিষ্কার।

সে কথা স্মরণ করে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘এ দেশে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট কর্মকর্তা এবং ক্রীড়া সাংবাদিকদের সম্পর্কটা খুব ভালো। খুবই বন্ধু বৎসল। সাংবাদিক ও ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনো দেয়াল নেই। বিশ্বের কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের ক্রিকেটার, কর্মকর্তার সঙ্গে সে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের এত মধুর সম্পর্ক নেই।

‘অস্ট্রেলিয়া ও অন্য টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোতে একজন ক্রিকেটার ও কোচ-সংগঠকের সঙ্গে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে তারপর কথা বলতে হয়। আমাদের বাংলাদেশে তার দরকার পড়ে না। এদেশে ক্রিকেটার ও জার্নালিস্টদের সম্পর্ক অনেক ভালো। ভাতৃপ্রতীম সম্পর্ক। সেটা ক্রিকেট উত্তরনে বরাবরই ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এমনকি দেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতেও বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অনেক। তাদের ইতিবাচক মানসিকতা ও লিখনী আমাদের ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে উঠতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।’