অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভিএফএস থ্রেড ডাইং কর্তৃপক্ষ দেনাদারের বিপরীতে সঞ্চিতি গঠন না করে মুনাফা বেশি দেখিয়েছে। যে কোম্পানিটিতে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে অবন্টিত লভ্যাংশ থাকলেও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) প্রেরণ করা হয়নি।

কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ভিএফএস থ্রেডের নিয়মিত গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকার পরিমাণ বাড়ছে। অথচ কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি কমেছে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২২%। এসত্ত্বেও ৭ কোটি ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভিএফএস থ্রেড ডাইং কর্তৃপক্ষ দেনাদারের বিপরীতে সঞ্চিতি গঠন না করে মুনাফা বেশি দেখিয়েছে। যে কোম্পানিটিতে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে অবন্টিত লভ্যাংশ থাকলেও ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) প্রেরণ করা হয়নি।

কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ভিএফএস থ্রেডের নিয়মিত গ্রাহকদের কাছে পাওনা টাকার পরিমাণ বাড়ছে। অথচ কোম্পানিটির পণ্য বিক্রি কমেছে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ২২%। এসত্ত্বেও ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা দেনাদার বেড়ে ৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় উঠে এসেছে।

এই দেনাদারদের কাছ থেকে পাওনা ৯৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সত্যতা নিয়ে এবং টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। যেখানে আইএফআরএস-৭ অনুযায়ি, লোকসান হবে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই টাকা আদায় না হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সঞ্চিতি গঠন করেনি।

কোম্পানিটিতে কাাঁচামাল ক্রয়, উৎপাদন সক্ষমতা, বিক্রিত পণ্য উৎপাদন ব্যয় ও পণ্য বিক্রি বিবেচনায় মজুদ পণ্য বেশি জমা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা কোম্পানির জন্য নেতিবাচক দিক।

এ কোম্পানিটিতে ১ কোটি ৯১ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। এরমধ্যে ৩ বছর বা ২০২২ সালের আগের ৮৬ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা বিএসইসির আইন অনুযায়ি সিএমএসএফে স্থানান্তর করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ভিএফএস থ্রেড কর্তৃপক্ষ তা মানেনি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ভিএফএস থ্রেডের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০৩ জুন) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬.৫০ টাকায়।