অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : বিশ্বের পুঁজিবাজারের মূল কাজ পুঁজি সরবরাহ করা। তবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এই পুঁজি সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। অযোগ্য নেতৃত্বের এই কমিশনের উপর অনাস্থার কারনে শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কমিশনের উপর আস্থার সংকটের কারণে গত ৬ মাসে মৌলভিত্তিক কোন কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসার আগ্রহ দেখায়নি। ...

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : বিশ্বের পুঁজিবাজারের মূল কাজ পুঁজি সরবরাহ করা। তবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে এই পুঁজি সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। অযোগ্য নেতৃত্বের এই কমিশনের উপর অনাস্থার কারনে শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কমিশনের উপর আস্থার সংকটের কারণে গত ৬ মাসে মৌলভিত্তিক কোন কোম্পানি শেয়ার বাজারে আসার আগ্রহ দেখায়নি। এতে শেয়ার বাজার নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশের এই শোচণীয় অবস্থার মধ্যে ভারতের শেয়ারবাজারে মেগা এন্ট্রি নিতে চলেছে এইচডিএফসি ব্যাংকের লিজিং কোম্পানি এইচডিবি ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড। স্টকের দুনিয়ায় পা রাখতে নিয়মমাফিক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসছে এইচডিবি ফিন্যান্স।

সম্প্রতি আইপিওর মূল্যসীমা (প্রাইস ব্যান্ড) ঘোষণা করেছে এইচডিবি ফিন্যান্স। বলা হয়েছে, ১০ টাকা ফেসভ্যালুর স্টকে বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে ৭০০-৭৪০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে এই কোম্পানিটির ৬৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ২৫ থেকে ২৭ জুনের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্ট আইপিওর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এইচডিবি ফিন্যান্সের আইপিওর লটের আকার ২০টি। অর্থাৎ প্রতি বিনিয়োগকারীকে কমপক্ষে ২০টি স্টকের জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ২০ এর গুণিতকে শেয়ার হাতে পেতে ঝাঁপাতে পারেন তাঁরা।

এইচডিবি ফিন্যান্স যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের (কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বায়ার্স) জন্য আইপিওর যে পরিমাণ স্টক সংরক্ষিত রেখেছে, তার পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি নয়। অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে ১৫ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৩৫ শতাংশে খুচরো বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন। কর্মচারী সংরক্ষণ অংশে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত স্টক ধরে রাখা হয়েছে। এছাড়া এইচডিএফসি ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের সংরক্ষিত অংশে আছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার।

আগামী ৩০ জুন আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ করবে এইচডিবি ফিন্যান্স। এর পরের দিন যাঁদের নামে স্টক বরাদ্দ হবে না, তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন। তবে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা হতে আরও একটা দিন সময় লাগবে।