অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্তকে পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড। সংস্থার বোর্ড সদস্য হিসেবে বছরে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা বেতন পাবেন তিনি।

রবিবার (২৯ জুন) শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণক সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে (সেবি) জমা করা নথিতে এই তথ্য জানিয়েছে মুকেশের পরিচালিত তেল বিপণন সংস্থা।

অনন্তকে নিয়োগ করা প্রসঙ্গে রিলায়্যান্স জানিয়েছে, তাঁর বার্ষিক বেতনের মধ্যে থাকবে মূল বেতন (বেসিক পে) এবং বেশ ...

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর পুত্র অনন্তকে পূর্ণ সময়ের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করল রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ় লিমিটেড। সংস্থার বোর্ড সদস্য হিসেবে বছরে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা বেতন পাবেন তিনি।

রবিবার (২৯ জুন) শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণক সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে (সেবি) জমা করা নথিতে এই তথ্য জানিয়েছে মুকেশের পরিচালিত তেল বিপণন সংস্থা।

অনন্তকে নিয়োগ করা প্রসঙ্গে রিলায়্যান্স জানিয়েছে, তাঁর বার্ষিক বেতনের মধ্যে থাকবে মূল বেতন (বেসিক পে) এবং বেশ কিছু ভাতা। প্রতি বছর কত টাকা করে তাঁর বেতন বৃদ্ধি হবে, তা ঠিক করবে সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স, নমিনেশন অ্যান্ড রেমুনারেশন (এইচআরএনআর) বিভাগ।

বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) জমা করা নথিতে মুকেশের তেল বিপণন সংস্থাটি বলেছে, ‘‘মূল বেতন, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং ভাতা মিলিয়ে বছরে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে অনন্ত অম্বানীর বেতন। অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বাবদ বাড়িভাড়া ভাতা, রান্নার গ্যাস, বাড়ির বিদ্যুৎ এবং জলের টাকা পাবেন তিনি। তাঁর বেতন ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের আওতাধীনে থাকবে।’’

পাশাপাশি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, অ্যানুইটি ফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটির টাকা রিলায়্যান্সের নিয়ম অনুযায়ী পাবেন মুকেশ-পুত্র। সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, অনন্ত অম্বানী, তাঁর স্ত্রী রাধিকা মার্চেন্ট এবং তাঁদের পরিচালকদের ভ্রমণ, থাকা-খাওয়ার বাবদ খরচও করবে মুকেশের তেল বিপণন সংস্থা। প্রতি মাসে তাঁর প্রাপ্ত বেতনের অঙ্ক কমবেশি হতে পারে। কারণ, সংস্থার নিট লাভের উপর ভিত্তি করে তাঁকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার কথা বিএসই-তে জমা দেওয়া নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের বৈঠকে অনন্তকে পূর্ণ সময়ের সদস্য হিসেবে নিয়োগের অনুমতি দেয় কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স। এরপরই ৫ বছরের মেয়াদে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার জন্য নিয়োগপত্র পান তিনি। গত ১ মে থেকে সেই দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন তিনি। রিলায়্যান্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের নীতি অনুসারে বেতনের সঙ্গে নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচও সংস্থার থেকে পাবেন মুকেশ-পুত্র।