অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ২০২৪ সালের ব্যবসায়ও বড় লোকসান হয়েছে। যে কোম্পানিটি ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত লোকসানে রয়েছে। এই সময়ে ৬ বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা টাকা। যা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের থেকে কয়েক গুণ বেশি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২০২৪ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১১.৯৯) টাকা। এ হিসাবে ১৭২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ২০২৪ সালের ব্যবসায়ও বড় লোকসান হয়েছে। যে কোম্পানিটি ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত লোকসানে রয়েছে। এই সময়ে ৬ বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা টাকা। যা কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের থেকে কয়েক গুণ বেশি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির ২০২৪ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে (১১.৯৯) টাকা। এ হিসাবে ১৭২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ২০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২৩ সালের ব্যবসায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় (৩৫.১৭) টাকা। এ হিসাবে ওই বছরে নিট লোকসান হয় ৬০৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আর ২০২২ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ১১.৯৫ টাকা করে মোট ২০৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার লোকসান হয়েছিল।

গত ৬ বছর বা ২০১৯ সাল থেকে লোকসানে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল। এই ৬ বছরে কোম্পানিটির নিট লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৩১৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যে লোকসানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ঋণাত্মক হয়ে গেছে (৬৩.০২) টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটি অবসায়নে শেয়ারহোল্ডাররা কোন কিছুই পাবেন না।

এই দুরাবস্থার কারন হিসেবে ঋণ খেলাপি হওয়ায় অতিরিক্ত সঞ্চিতি গঠন, নন-পারফর্মিং লোন খারাপ অবস্থার কারনে সঞ্চিতি বৃদ্ধি, সুদজনিত আয় কমে আসা ও শেয়ারবাজারের মন্দায় ব্রোকারেজ কমিশন আয় হ্রাসকে উল্লেখ করেছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৭১.০৬ শতাংশ মালিকানাই রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০১ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪.৩০ টাকায়।