এন্ড্রু কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ

বিনোদন প্রতিবেদক : ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ৬ জুলাই) প্রয়াণ দিবস। প্রিয়শিল্পীকে হারানোর দিনে তার অনুরাগীরা স্মরণ করছেন শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ শিল্পীকে নিয়ে সবাই নানান ধরনের স্মৃতি কথা লিখছেন। নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেতও এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
এন্ড্রু কিশোর ছিলেন হানিফ সংকেতের অন্যতম প্রিয় বন্ধু। সেই বন্ধুকে মৃত্যু দিবসে স্মরণ করলেন হানিফ সংকেত। ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে এন্ড্রুকে নিয়ে হানিফ সংকেত এ স্মৃতিচারণ করেন।
স্ট্যাটাসে হানিফ ...
বিনোদন প্রতিবেদক : ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ খ্যাত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের ৬ জুলাই) প্রয়াণ দিবস। প্রিয়শিল্পীকে হারানোর দিনে তার অনুরাগীরা স্মরণ করছেন শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ শিল্পীকে নিয়ে সবাই নানান ধরনের স্মৃতি কথা লিখছেন। নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেতও এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন।
এন্ড্রু কিশোর ছিলেন হানিফ সংকেতের অন্যতম প্রিয় বন্ধু। সেই বন্ধুকে মৃত্যু দিবসে স্মরণ করলেন হানিফ সংকেত। ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে এন্ড্রুকে নিয়ে হানিফ সংকেত এ স্মৃতিচারণ করেন।
স্ট্যাটাসে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘আজ বন্ধু এন্ড্রু কিশোরের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস। যার কাছে গানই ছিলো জীবন-মরণ, গানই ছিলো প্রাণ। এই গানের জন্যই মানুষ তাকে ভালোবাসতো, দিয়েছিল “প্লেব্যাক সম্রাট” উপাধি। কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এক সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, এক সঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিল ইত্যাদির প্রায় নিয়মিত শিল্পী। একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ ছিলো কিশোর। গানের মাধ্যমেই এন্ড্রু কিশোর বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু ভুলিনি তোমায়-ভুলব না-ভুলতে পারব না। ভালো থেকো, শান্তিতে থেকো।’
প্রায় তিশ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে এন্ড্রু কিশোর অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙাল’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার একদিকে পৃথিবী’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ প্রভৃতি।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ধরা পড়ে ক্যান্সার। সেখানে তিনি কয়েক মাস চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিলে তাকে নিজের ইচ্ছেতেই ২০২০ সালের ২০ জুন রাজশাহীতে আনা হয়।
এরপর তিনি মহানগরীর মহিষবাথানে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় বসবাস শুরু করেন। ৬ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৫ জুলাই রাজশাহী সার্কিট হাউস সংলগ্ন খ্রিস্টান কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।