এসি মেরামতে বন্ধ মধুমিতা সিনেমা হল

বিনোদন ডেস্ক : ঈদুল আজহার এক মাসের মাথায় বন্ধ করে দেওয়া হলো ঢাকার অন্যতম প্রচীন প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা। বন্ধ করার আগে অবশ্য এই হলে চলছিল ঈদুল ফিতরের পুরোনো সিনেমা ‘বরবাদ’।
ঈদে প্রদর্শনী চলাকালে হলটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। এতে ভীষণ দুর্ভোগে পড়তে হয় দর্শকদের। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও এসির বদলে ফ্যান চালিয়ে দর্শকদের সিনেমা দেখানো হয়েছে এক মাস। জানা গেছে, মূলত এসি মেরামত করার জন্য আপাতত হলের প্রদর্শনী বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে ...
বিনোদন ডেস্ক : ঈদুল আজহার এক মাসের মাথায় বন্ধ করে দেওয়া হলো ঢাকার অন্যতম প্রচীন প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা। বন্ধ করার আগে অবশ্য এই হলে চলছিল ঈদুল ফিতরের পুরোনো সিনেমা ‘বরবাদ’।
ঈদে প্রদর্শনী চলাকালে হলটির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। এতে ভীষণ দুর্ভোগে পড়তে হয় দর্শকদের। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও এসির বদলে ফ্যান চালিয়ে দর্শকদের সিনেমা দেখানো হয়েছে এক মাস। জানা গেছে, মূলত এসি মেরামত করার জন্য আপাতত হলের প্রদর্শনী বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে নতুন সিনেমা এলে ফের প্রদর্শনী শুরু হবে বলে জানান মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। নওশাদ বলেন, ‘ঈদে শাকিব খানের “তান্ডব” চলিয়েছি, তারপর “উৎসব”। গত দুদিন চালিয়েছি শাকিবের “বরবাদ”। দেখলাম দর্শক নেই। আর হলের ভেতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা মেরামতের কাজ চলমান। সেটা ঠিক করে পরে নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে আবারও প্রদর্শনী শুরু করবো।’
মধুমিতা হলের প্রতিষ্ঠাতা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন। সিনেমা হলের নাম চেয়ে দৈনিক ইত্তেফাকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অনেকে অনেক নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেখান থেকে মধুমিতা নামটি পছন্দ করেন সিরাজ উদ্দিন। নাম প্রস্তাবকারীকে তখনকার দিনে ৫০০ টাকা পুরস্কার দেন। ১৯৬৭ সালের ১ ডিসেম্বর মধুমিতা সিনেমা হল উদ্বোধন করেছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার বিচারপতি আবদুল জব্বার খান।
সিরাজ উদ্দিনের চার ছেলেই হলটির যৌথ মালিক। তবে বর্তমানে মধুমিতা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখান উদ্দিন নওশাদ। এই প্রেক্ষাগৃহে ১ হাজার ২২১ জন দর্শক একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখতে পারেন।