অস্তিত্ব সংকটে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৯৮% খেলাপি

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বিভিন্ন লিজিং কোম্পানি। সেই কাতারে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড সার্ভিসেসও রয়েছে। যে কোম্পানিটির সম্পদের থেকে দায় বেশিসহ নানা সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে।
নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুযায়ি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২০২৪ সালে লোকসান হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এতে করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রিটেইন আর্নিংস বা রিজার্ভ ঋণাত্মক হয়ে গেছে ৪ হাজার ৯৭৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এতে করে ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বিভিন্ন লিজিং কোম্পানি। সেই কাতারে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড সার্ভিসেসও রয়েছে। যে কোম্পানিটির সম্পদের থেকে দায় বেশিসহ নানা সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছে।
নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুযায়ি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২০২৪ সালে লোকসান হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এতে করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রিটেইন আর্নিংস বা রিজার্ভ ঋণাত্মক হয়ে গেছে ৪ হাজার ৯৭৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এতে করে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ঋণাত্মক হয়ে গেছে (২১২.৩২) টাকা। অর্থাৎ এই মুহূর্তে কোম্পানিটিকে অবসায়নে পাঠানো হলে শেয়ারহোল্ডাররা ১ টাকাও পাবে না।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের গত ৩১ ডিসেম্বর প্রদত্ত ঋণ ও লীজের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৩৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ৯৭.৭২% খেলাপি হয়ে গেছে। এছাড়া কোম্পানিটির বিভিন্ন ব্যয় ও গৃহিত ঋণের সদুজনিত ব্যয়ের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতায় ৮৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার দায় বেড়েছে।
এই লিজিং কোম্পানিটি থেকে ধংস হয়ে যাওয়া ফাস ফাইন্যান্সে ১৩৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা, পিপলস লিজিংয়ে ১৪০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ে ৫২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর) করা হয়েছে। যেসব এফডিআর আদায় অনিশ্চিত। কারন ওইসব প্রতিষ্ঠানই অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে।
চলমান এই শোচণীয় দুরাবস্থার কারনে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানোর সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
আরও পড়ুন.....
অতিরঞ্জিত সুদ আয় দেখিয়েছে এসআইবিএল
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৮.৪৫ শতাংশ। কোম্পানিটির মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২.৯০ টাকায়।