যে কারনে গ্লোবাল ব্যাংকের লভ্যাংশের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বড় লোকসান সত্ত্বেও ২০২৩ সালের ব্যবসায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মুনাফা দেখিয়েছিল। যার উপর ভিত্তি করে লভ্যাংশও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকটি লভ্যাংশ ঘোষণার যোগ্যই ছিল না।
বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ি, কোন বছরে লোকসান করলে এবং পুঞ্জীভূত লোকসানে থাকা কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারবে না।
এ বিধান সত্ত্বেও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়ে ওই বছরের ব্যবসায় ৫% নগদ ও ৫% বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল। যা সংশোধন করে ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বড় লোকসান সত্ত্বেও ২০২৩ সালের ব্যবসায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মুনাফা দেখিয়েছিল। যার উপর ভিত্তি করে লভ্যাংশও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকটি লভ্যাংশ ঘোষণার যোগ্যই ছিল না।
বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ি, কোন বছরে লোকসান করলে এবং পুঞ্জীভূত লোকসানে থাকা কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষনা করতে পারবে না।
এ বিধান সত্ত্বেও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়ে ওই বছরের ব্যবসায় ৫% নগদ ও ৫% বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল। যা সংশোধন করে কোম্পানির পর্ষদ ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
এই ব্যাংকটির ভিতরে ফাঁকা থাকলে অতিরঞ্জিত আর্থিক হিসাব দেখিয়ে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ৪২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। যে ব্যাংকটির ২০২৩ সালের আর্থিক হিসাব সংশোধনীতে ১.৩০ টাকার ইপিএস নেমে এসেছে ঋণাত্মক (২১.৭৯) টাকায়।
গত বছরের ২৯ এপ্রিল ব্যাংকটির ২০২৩ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) উল্লেখ করা হয়েছিল ১.৩০ টাকা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) ১৩.৯৪ টাকা ও শেয়ারপ্রতি পরিচালন নিট নগদ প্রবাহ (০.১৬) টাকা উল্লেখ করা হয়েছিল।
সম্প্রতি ব্যাংকটির ২০২৩ সালের আর্থিক হিসাব সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির দেখানো ১.৩০ টাকার ইপিএস নেমে এসেছে ঋণাত্মক (২১.৭৯) টাকায়। আর ১৩.৯৪ টাকার এনএভিপিএস ঋণাত্মক (৯.১৪) টাকায় নেমে এসেছে।