খেলাধূলা ডেস্ক : প্রত্যেক ক্রিকেট তারকার ক্যারিয়ারেই খারাপ সময় আসে। অন্ধকার-অনামিশা কেটে গিয়ে ফের ভোরের আলো ফোটে। মাঝের সময়টাতে তাদেরকে ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়।

ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি বিরেন্দ্রর শেবাগের ক্যারিয়ারের আকাশেও একবার কালো মেঘ ভেসে এসেছিল। এক পর্যায়ে তিনি ধৈর্যহারা হয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু খারাপ সময় কাটিয়ে ফের খেলায় ফিরতে পেরেছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দল থেকে বাদ দেন শেবাগকে। ...

খেলাধূলা ডেস্ক : প্রত্যেক ক্রিকেট তারকার ক্যারিয়ারেই খারাপ সময় আসে। অন্ধকার-অনামিশা কেটে গিয়ে ফের ভোরের আলো ফোটে। মাঝের সময়টাতে তাদেরকে ধৈর্যের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়।

ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি বিরেন্দ্রর শেবাগের ক্যারিয়ারের আকাশেও একবার কালো মেঘ ভেসে এসেছিল। এক পর্যায়ে তিনি ধৈর্যহারা হয়ে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু খারাপ সময় কাটিয়ে ফের খেলায় ফিরতে পেরেছিলেন তিনি।

২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দল থেকে বাদ দেন শেবাগকে। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে গণ্য শেবাগ মোটেই ফর্মে ছিলেন না। ২০০৭-০৮ সিরিজে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পাঁচ ম্যাচে করেন মাত্র ৮১ রান, গড় ১৬.২০।

এই খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে ধোনি তাকে একাদশ থেকে বাদ দেন। পদমজিত শেহরাওয়াতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেবাগ জানান, দল থেকে বাদ পড়ায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

শেবাগ বলেন, ‘২০০৭-০৮ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমি প্রথম তিন ম্যাচ খেলেছিলাম, এরপর ধোনি আমাকে দল থেকে বাদ দেয়। অনেকদিন আমাকে নেওয়া হয়নি। তখন মনে হয়েছিল, যদি একাদশে জায়গা না হয় তবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার দরকার নেই।’

এরপর শচিন টেন্ডুলকারের কাছে গেলে তিনি শেবাগকে অবসর না নেওয়ার পরামর্শ দেন। শচিন জানান, তিনিও ১৯৯৯-২০০০ সালে একই রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন এবং সেই সময়টা কেটে গিয়েছিল।

শচিন শেবাগকে আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, ‘কয়েকটি সিরিজ খেলো, তারপর সিদ্ধান্ত নাও।’

সে সময়ের কথা মনে করে শেবাগ বলেন, ‘আমি শচিনের কাছে গিয়ে বললাম, আমি ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছি।’ শচিন বললেন, ‘না, আমি ১৯৯৯-২০০০ সালে একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, যখন মনে হয়েছিল ক্রিকেট ছেড়ে দেবো। কিন্তু সময়টা কেটে গিয়েছিল। তুমি এখন খারাপ সময় পার করছো, এটা চলে যাবে। আবেগের বশে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ো না। নিজেকে কিছু সময় দাও, ১-২টা সিরিজ খেলো, তারপর সিদ্ধান্ত নাও।’

এরপর শেবাগ যোগ করেন, ‘সেই সিরিজ শেষ হওয়ার পর আমি পরের সিরিজে অনেক রান করি। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপ খেলি এবং আমরা বিশ্বকাপও জিতি।’

দীর্ঘ ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এই শিরোপা জেতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শেবাগ। শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।