আল-মদিনা ফার্মা নিয়ে সন্দেহ : তদন্ত করবে বিএসইসি

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানা, প্রধান কার্যালয়, হিসাব বই, রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূলধন বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করে কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে এসএমই প্ল্যাটফর্মে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানা, প্রধান কার্যালয়, হিসাব বই, রেকর্ড এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূলধন বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করে কমিশন।
এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের বিষয়ে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক এ কে এম ফারুক আলম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক।
যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি :
১. কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ প্রসপেক্টাসের ১৪-১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বর্ণিত শর্ত ও কমিশনের ২৩ মার্চ, ২০২৩ সম্মতিপত্র অনুযায়ী ব্যয় করা হয়েছে কি না।
২. সংশ্লিষ্ট লেনদেনের পক্ষগুলো কারা, সেই লেনদেনের নগদ প্রবাহ কেমন ছিল এবং বিনিয়োগের সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে কি না।
৩. আন্তর্জাতিক হিসাবমান (আইএএস) ২৪ অনুযায়ী কোনো সম্পর্কিত পক্ষের লেনদেন (রিলেটেড পার্টি ট্রানজেকশন) হয়েছে কি না।
৪. কিউআইও’র মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থের ব্যবহার পরবর্তী আর্থিক বিবরণীতে প্রতিফলিত হয়েছে কি না।
৫. ছোটখাটো নগদ খরচ ছাড়া সব লেনদেন ব্যাংক ট্রান্সফার বা ক্রসড চেকের মাধ্যমে হয়েছে কি না।
৬. ব্যাংক হিসাবে থাকা লেনদেন ও অব্যবহৃত অর্থের হিসাব যাচাই করা।
৭. কিউআইও’র মাধ্যমে সংগ্রহীত অর্থ ব্যবহারের উদ্দেশ্য বা সময়সীমা পরিবর্তন হয়ে থাকলে-তা কমিশনের সম্মতিপত্রের শর্ত নম্বর ২৭ অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না।
৮. পাশাপাশি এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে গঠিত তদন্ত কমিটি।