অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিএসপি ফাইন্যান্সের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষায় এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিএসপি ফাইন‍্যান্সের ৮৩৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোম্পানিটির ৫১০ কোটি ৮১ লাখ টাকার সঞ্চিতি গঠন করা দরকার। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ করেছে ৩৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার। এক্ষেত্রে সঞ্চিতি ঘাটতি ১৭৪ কোটি ২৯ ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিএসপি ফাইন্যান্সের ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষায় এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিএসপি ফাইন‍্যান্সের ৮৩৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোম্পানিটির ৫১০ কোটি ৮১ লাখ টাকার সঞ্চিতি গঠন করা দরকার। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ করেছে ৩৩৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার। এক্ষেত্রে সঞ্চিতি ঘাটতি ১৭৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

এ কোম্পানিটি থেকে বিনিয়োগ করা হয়েছে ধংস হয়ে যাওয়া প্রিমিয়ার লিজিং ও ফাস ফাইন্যান্সে। টিডিআর হিসাবে বিনিয়োগ করেছে যথাক্রমে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ও ২ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা আদালত কোম্পানি দুটিকে পরিশোধ করে দিতে বলেছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান দুটির অস্তিত্বই রয়েছে হুমকিতে।

জিএসপি ফাইন্যান্সের অনেক খেলাপি ঋণ, ঋণাত্মক গ্রোস মুনাফা, অনেক লোকসান, তারল্য সংকট, ঋণাত্মক ইক্যুইটিসহ চলমান অন্যান্য শোচণীয় দুরাবস্থার কারনে ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানোর সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিএসপি ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৫৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৮৭.৯৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২.৭০ টাকায়।