২৫৪ জনকে ৩৮৬ কোটি মার্জিন ঋণ : পোর্টফোলিওতে আছে ২৩ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কয়েক বছর ধরে গলার কাঁটা নেগেটিভ ইক্যুইটি। যা সম্ভব হয়েছে জিএসপি ইনভেস্টমেন্টের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই আইন বর্হিভূত মার্জিন ঋণ দেওয়ার কারনে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের লোভের কারনে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও ডুবেছে। যা থেকে বেরিয়ে আসারও কোন উপায় নেই।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিএসপি ফাইন্যান্সের সাবসিডিয়ারি বা অধীনস্থ কোম্পানি জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট। এটি একটি মার্চেন্ট ব্যাংক। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এতোটাই নিয়ম বর্হিভূত মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়েছে যে, এখন ...
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কয়েক বছর ধরে গলার কাঁটা নেগেটিভ ইক্যুইটি। যা সম্ভব হয়েছে জিএসপি ইনভেস্টমেন্টের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই আইন বর্হিভূত মার্জিন ঋণ দেওয়ার কারনে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের লোভের কারনে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোও ডুবেছে। যা থেকে বেরিয়ে আসারও কোন উপায় নেই।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিএসপি ফাইন্যান্সের সাবসিডিয়ারি বা অধীনস্থ কোম্পানি জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট। এটি একটি মার্চেন্ট ব্যাংক। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এতোটাই নিয়ম বর্হিভূত মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়েছে যে, এখন সেই টাকা ফেরতের কোন উপায় নেই। কারন এরইমধ্যে মার্জিন ঋণ গ্রহিতা বিনিয়োগকারীদের সিকিউরিটিজের দাম তলানিতে নেমে এসেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, জিএসপি ইনভেস্টমেন্টের মার্জিন ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকায়। যা ২৫৪টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবধারীকে দেওয়া হয়েছে। যার সবগুলো হিসাবই ঋণাত্মক ইক্যুইটি হয়ে গেছে। ওইসব বিওতে সিকিউরিটিজের বাজার দর আছে মাত্র ২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় জিএসপি ইনভেস্টমেন্টে সঞ্চিতি গঠন করা দরকার ৩৬২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ করেছে মাত্র ৬০ কোটি ১ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে ৩০২ কোটি ৭০ লাখ টাকার কম সঞ্চিতি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জিএসপি ফাইন্যান্সের লোকসান কম এবং ইক্যুইটি বেশি দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন....
অস্তিত্ব ঝুঁকিতে থাকা জিএসপি ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৮৪০ কোটি টাকা
নিরীক্ষক কোম্পানিটির আর্থিক হিসাব পর্যবেক্ষনে গ্রাহকদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ২৬ লাখ টাকা পাওনার তথ্য পেয়েছেন। যা আদায়যোগ্য বলে মনে করছে না নিরীক্ষক। এ হিসাবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সম্পদ বেশি দেখানো হয়েছে।
এদিকে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা মানছে না জিএসপি ইনভেস্টমেন্ট। এফআরসির নির্দশনা অনুযায়ি, শেয়ার মানি ডিপোজিট ৬ মাসের মধ্যে সাধারন শেয়ারে রুপান্তর করতে হবে। কিন্তু জিএসপি ইনভেস্টমেন্টে ২৫ কোটি টাকার এই ফান্ড ৬ মাসের বেশি সময় ধরে থাকলেও সাধারন শেয়ারে রুপান্তর করেনি।