অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ভারতের শেয়ারবাজারে আসছে চশমা প্রস্তুতকারী কোম্পানি লেন্সকার্ট। এলক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনার অনুমোদন পেয়েছে তারা।

জানা গেছে, নভেম্বরে ভারতের বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে পারে স্টার্ট আপ এ কোম্পানিটির। ওই দিন লেন্সকার্টের শেয়ার রকেট গতি পেলে বিনিয়োগকারীরা যে মোটা মুনাফা করবেন, তা বলাই বাহুল্য।

চশমা প্রস্তুতকারী গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা ২০০৮ সালে। এর দু’বছরের মাথায় ...

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক : ভারতের শেয়ারবাজারে আসছে চশমা প্রস্তুতকারী কোম্পানি লেন্সকার্ট। এলক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি) থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আনার অনুমোদন পেয়েছে তারা।

জানা গেছে, নভেম্বরে ভারতের বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে পারে স্টার্ট আপ এ কোম্পানিটির। ওই দিন লেন্সকার্টের শেয়ার রকেট গতি পেলে বিনিয়োগকারীরা যে মোটা মুনাফা করবেন, তা বলাই বাহুল্য।

চশমা প্রস্তুতকারী গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠা ২০০৮ সালে। এর দু’বছরের মাথায় অনলাইন ব্যবসায় নামে তারা। ২০১৩ সালে খুচরো বিপণি খোলে লেন্সকার্ট। চলতি বছরের জুলাইয়ে আইপিও আনার খসড়া নথি সেবির কাছে জমা করে। অর্থনীতির পরিভাষার যা ‘ড্রাফট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস’ বা ডিআরএইচপি হিসাবে পরিচিত।

সূত্রের খবর, এই আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি ডলার তোলার পরিকল্পনা রয়েছে গুরুগ্রামের লেন্সকার্টের। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ৮ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাটা ক্যাপিটাল এবং এলজি ইলেকট্রনিক্সের পর এ বছরের তৃতীয় বৃহত্তম আইপিও আনতে চলেছে লেন্সকার্ট। এতে নতুন ইস্যু এবং অফার ফর সেল (ওএফএস)— দু’টি শ্রেণিতেই শেয়ার বিক্রি করবে গুরুগ্রামের স্টার্ট আপ।

ভারতের ব্রোকারেজ হাউজগুলির দাবি, আসন্ন আইপিতে মোট ১৩.২২ কোটির বেশি স্টক বাজারে ছাড়বে লেন্সকার্ট। এরমধ্যে ২ হাজার ১৫০ কোটি মূল্যের থাকবে নতুন শেয়ার। এছাড়া বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা ওএফএসে স্টক বিক্রি করতে পারবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন স্টার্ট আপ কোম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্‌জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) পীযূষ বনশল এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নেহা বনশল।

‘লেন্সকার্ট’ জানিয়েছে, আইপিও থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ দেশের বিভিন্ন শহরে একাধিক নতুন বিপণি খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর জন্য ২৭২ কোটি টাকা খরচ ধার্য করেছে তারা। এ ছাড়া ২,৭০০টি স্টোরের ভা়ড়া, লিজ় এবং অন্যান্য খরচ মেটাতে ৫৯১ কোটি টাকা ব্যয় করবে চশমা প্রস্তুতকারী কোম্পানিটি।

এছাড়া আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল ‘কৌশলগত উদ্যোগে’ ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছে লেন্সকার্ট। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক বিপণী অধিগ্রহণ, ব্র্যান্ডের মার্কেটিং এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ। চশমা প্রস্তুতকারী কোম্পানিটির আইপিওর বুক রানিং লিড ম্যানেজার তালিকায় কোটাক মাহিন্দ্রা ক্যাপিটাল, মর্গ্যান স্ট্যানলি ইন্ডিয়া, অ্যাভেন্ডাস ক্যাপিটাল, সিটি গ্রুপ গ্লোবাল, অ্যাক্সিস ক্যাপিটাল এবং ইনটেনসিভ সার্ভিসেসের নাম রয়েছে।