অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : ভারতের শেয়ারবাজারে মেগা এন্ট্রি নিতে যাচ্ছে এলজি ইলেকট্রনিক্স। সেই লক্ষ্যে প্রথমবার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এনেছে এই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নির্মাণকারী কোম্পানি। তাতে আবেদনকারীর সংখ্যা পেরিয়েছে চার লক্ষ।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, তালিকাভুক্তির দিনে বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাবে এলজি। সেক্ষেত্রে কালীপুজো এবং দীপাবলির মুখে স্টকে বিনিয়োগকারীদের মুখের হাসি যে চওড়া হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

গত মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) আইপিও শুরু হয় এলজি ইলেকট্রনিক্সে। যা ৯ অক্টোবর শেষ হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আবেদন ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : ভারতের শেয়ারবাজারে মেগা এন্ট্রি নিতে যাচ্ছে এলজি ইলেকট্রনিক্স। সেই লক্ষ্যে প্রথমবার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) এনেছে এই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নির্মাণকারী কোম্পানি। তাতে আবেদনকারীর সংখ্যা পেরিয়েছে চার লক্ষ।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দাবি, তালিকাভুক্তির দিনে বিনিয়োগকারীদের পকেট ভরাবে এলজি। সেক্ষেত্রে কালীপুজো এবং দীপাবলির মুখে স্টকে বিনিয়োগকারীদের মুখের হাসি যে চওড়া হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

গত মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) আইপিও শুরু হয় এলজি ইলেকট্রনিক্সে। যা ৯ অক্টোবর শেষ হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৫৪ গুণ।

আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১১,৬০৭.০১ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা রয়েছে এলজি ইলেকট্রনিক্সের। এর প্রাইস ব্যান্ড শেয়ার প্রতি ধার্য হয়েছে ১,০৮০-১,১৪০ টাকা।

এলজি ইলেকট্রনিক্সের আইপিও’র প্রতি লটে ছিল ১৩টি করে শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম একটি লটে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার আইপিওটির শেয়ার বরাদ্দ করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি। শেয়ারটির ১৪ অক্টোবর বম্বে এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে এলজির তালিকাভুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আইপিওর মাধ্যমে নতুন করে কোনও মূলধন সংগ্রহ করছে না এলজি ইলেকট্রনিক্স। আর তাই সম্পূর্ণভাবে অফার ফর সেলের কথা মাথায় রেখে এটিকে বাজারে এনেছে তারা। আইপিওটির মাধ্যমে স্টক বিক্রি করবেন কোম্পানিটির বিদ্যমান উদ্যোক্তারা।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাটির আইপিওর ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত ছিল যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের (কোয়ালিফায়েড ইন্সটিটিউশনাল বাইয়ার্স বা কিউআইবি) জন্য। ১৫ শতাংশ স্টকে আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (নন-ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টর বা এনআইআই)। এছাড়া খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল ৩৫ শতাংশ স্টক।

এলজি ইলেকট্রনিক্স ইনকর্পোরেটেডের আইপিওতে ১০ কোটির বেশি শেয়ার বিক্রি করার কথা রয়েছে। ফলে কোম্পানিটিতে তাদের অংশীদারিত্ব ১০০ থেকে কমে ৮৫ শতাংশে নেমে আসবে।