অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কিছুদিন আগের পতনে নাভিশ্বাস উঠে যায় বিনিয়োগকারীদের। তবে শেষ কয়েকদিন অযৌক্তিক মার্জিন রুলস আদালতে স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ করা হবে, এমন গুজবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে আশার সঞ্চার তৈরী হয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ সোমবার (২৪ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।

গত ১৫ মাস ধরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সংস্কার করছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে কিছুদিন আগের পতনে নাভিশ্বাস উঠে যায় বিনিয়োগকারীদের। তবে শেষ কয়েকদিন অযৌক্তিক মার্জিন রুলস আদালতে স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ করা হবে, এমন গুজবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজার নিয়ে আশার সঞ্চার তৈরী হয়েছে। এরমধ্যে সর্বশেষ সোমবার (২৪ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।

গত ১৫ মাস ধরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সংস্কার করছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে তারা যতই সংস্কার করছে, ততই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে করে বর্তমান কমিশনের সংস্কার এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অপসংস্কার হিসেবে ধরা দিয়েছে। যে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কিছু করতে না পারলেও শুরু থেকে বিভিন্ন জনকে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বিএসইসিকে ‘শাস্তি কমিশন’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।

শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিনিয়োগকারীরা মাকসুদের অপসারণ চান। যার অপসারণেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের। কারন মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০২৫ পয়েন্টে। যা আগেরদিন বেড়েছিল ৪৭ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইতে ৬৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন হয়েছিল ৩৮৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৫০ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৬৫ শতাংশ।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৫৯ টি বা ৯১.৮২ শতাংশের। আর দর কমেছে ২২ টি বা ৫.৬৩ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ১০ টি বা ২.৫৬ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে সোমবার ১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৪ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮৫ টির, কমেছে ১৭ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১২ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৯৩৭ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ১৫ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়েছিল।