অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : একসময় দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এখন জীবনচক্রের শেষ ধাপে। নিয়মিত ব্যবসায় এখন মন্দা। যা কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের মতো অক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেই কোম্পানির অর্থ পড়ে আছে অন্য জায়গায়।

ব্যবসায় ধুঁকতে থাকা জিকিউ বলপেন ৮ বছর ধরে লোকসানে রয়েছে। ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৮ অর্থবছরে (২০১৭-১৮ থেকে ২০২৪-২৫) মোট ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : একসময় দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ এখন জীবনচক্রের শেষ ধাপে। নিয়মিত ব্যবসায় এখন মন্দা। যা কোম্পানিটির ঋণ পরিশোধের মতো অক্ষমতার জায়গায় নিয়ে গেছে। সেই কোম্পানির অর্থ পড়ে আছে অন্য জায়গায়।

ব্যবসায় ধুঁকতে থাকা জিকিউ বলপেন ৮ বছর ধরে লোকসানে রয়েছে। ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির ৮ অর্থবছরে (২০১৭-১৮ থেকে ২০২৪-২৫) মোট ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের ১ম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ০.৫১ টাকা করে মোট ৪৬ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে।

তবে ধ্বংসের পথে থাকা এমন একটি কোম্পানির শেয়ার দর আকাশচুম্বি। যা দেশীয় এবং বহুজাতিক অনেক মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির থেকে বেশি। যা নিয়ে তদন্তে যৌক্তিক কোন কারন খুঁজে পায়নি ডিএসই কর্তৃপক্ষ।

টানা লোকসানে থাকা জিকিউ বলপেনের শেয়ার দর গত ২৫ জুন ছিল ১৬৩.৫০ টাকা। যা টানা বেড়ে ২৮ সেপ্টেম্বর উঠে যায় ৫৯৬.৭০ টাকা। এক্ষেত্রে দর বাড়ে ৪৩৩.২০ টাকা বা ২৬৫ শতাংশ। এই দর বৃদ্ধির পেছনে কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পায়নি ডিএসই কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ কিছুদিনের পতনে শেয়ারটি এখন ৪১৬.১০ টাকায় নেমে এসেছে।

কোম্পানিটির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষক নিরীক্ষক জানিয়েছেন, আর্থিক সংকটে থাকা জিকিউ বলপেন মালাদেশ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ মূল্য যাচাইয়ে কোন অডিট রিপোর্ট পায়নি নিরীক্ষক।

জিকিউ বলপেন থেকে কয়েকটি সিস্টার কর্নসার্ন কোম্পানিতে ৯ কোটি ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৮০ টাকার বিনিয়োগ করেছে। যা নন-পারফরমিং বা অকাজের জায়গায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। যেখান থেকে আর্থিক কোন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও ওই বিনিয়োগ প্রত্যাহার না করে কয়েক বছর ধরে আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে জিকিউ বলপেন কর্তৃপক্ষ।

অথচ কোম্পানিটি নিজেই অর্থের অভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারছিল না। এজন্য জমি বিক্রি করে। যেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ৭.৬৭ কাঠা জমি বিক্রি করা হয়। যা থেকে পাপ্য অর্থ দিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জিকিউ বলপেনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৯.৯৯ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (৩০ নভেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪১৬.১০ টাকায়।