অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অযোগ্য চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পাবলিক ইস্যু রুলসে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যেখানে বড় ও ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিরুৎসাহিত করার মতো বিধিবিধান করতে যাচ্ছে বিএসইসি। তবে সেই বিএসইসি শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে।

সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও বিএসইসি ভবনে বিকাল ৩ টায় পাবলিক ইস্যু রুলস এবং শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অযোগ্য চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পাবলিক ইস্যু রুলসে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যেখানে বড় ও ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিরুৎসাহিত করার মতো বিধিবিধান করতে যাচ্ছে বিএসইসি। তবে সেই বিএসইসি শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেছে।

সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও বিএসইসি ভবনে বিকাল ৩ টায় পাবলিক ইস্যু রুলস এবং শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকটিতে খসড়া পাবলিক ইস্যু রুলস ও কিভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

অথচ বিএসইসির খসড়া আইপিও রুলস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরী হয়েছে এরইমধ্যে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিএসইসির খসড়া আইনে বড় এবং ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি অন্যকোন কোম্পানিও খসড়া আইনের আওতায় শেয়ারবাজারে আসতে চাইবে না। আর সেটা বর্তমান কমিশনের সময়তো অসম্ভব। এই রাশেদ মাকসুদ কমিশনের উপর অন্যসব স্টেকহোল্ডারদের ন্যায় কোম্পানিগুলোও অনাস্থা। যাতে গত দেড় বছরে কোন আইপিও নেই।

বৈঠকে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ খসড়া আইপিও রুলস এর বিষয়ে কথা বলেন। নতুন রূলসের মাধ্যমে আইপিও সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক এর আধুনিকীকরণ ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। নতুন রুলসের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্তিতে আগ্রহী কোম্পানিগুলো ন্যায্য প্রাইসিং ও ভ্যালুয়েশন এর নিশ্চয়তা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, “বহুজাতিক কোম্পানিসহ রাষ্ট্র মালিকানাধীন লাভজনক মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনা মোতাবেক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ইতোমধ্যে কোম্পানিগুলোকে জানানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এর বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করতে হবে।”

বৈঠকে বিএসইসি’র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, ফারজানা লালারুখ, মোঃ সাইফুদ্দিন, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাজেদা খাতুন, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ কিবরিয়া, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ শামীম রানা, সিনোভিয়া ফার্মা পিএলসি এর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) গোলাম রব্বানী আকন্দ, নেভিয়ান লাইফ সায়েন্স পিএলসি (নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেড) এর ভারপ্রাপ্ত চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও), কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক মাহমুদা সুলতানা, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এর কোম্পানি সচিব বিমল চন্দ্র রায় ও উপ-মহাব্যবস্থাপক(অর্থ) আবদুল্লাহ্ আল মামুন, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এর সহকারী ব্যবস্থাপক হাসান মাহমুদ, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর এসপিও মকবুল হাসান, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর এসপিও মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবের রহমান চৌধুরী এবং বিএসইসির পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।