অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজার অব্যাহত পতনে রয়েছে। এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এছাড়া এই বাজারের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরী হয়েছে। তারপরেও এই অযোগ্য রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে অপসারন করছে না সরকার। এছাড়া নিজেও পদত্যাগ না করে নির্লজ্জভাবে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে মাকসুদ ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই শেয়ারবাজার অব্যাহত পতনে রয়েছে। এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এছাড়া এই বাজারের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম তৈরী হয়েছে। তারপরেও এই অযোগ্য রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে অপসারন করছে না সরকার। এছাড়া নিজেও পদত্যাগ না করে নির্লজ্জভাবে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে মাকসুদ কমিশন।

এই কমিশনের পদত্যাগের মাধ্যমে যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, তা কয়েক দফায় প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দুই দফায় তার অপসারন হচ্ছে বলে শেয়ারবাজারে গুজব উঠে। যার উপর ভিত্তি করে শেয়ারবাজার ইতিবাচক হয়েছিল। কিন্তু তার অপসারন বাস্তবে রুপ না পাওয়ায়, শেয়ারবাজার আবারও পতনের ধারায় ফিরে গেছে।

বিনিয়োগকারী সালাহউদ্দিন মাহমুদ অর্থ বাণিজ্যকে বলেন, শেয়ারবাজার ধংসের জন্য রাশেদ মাকসুদকে বিএসইসির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এছাড়া তার মতো এতো বড় অযোগ্য ও অথর্বকে ওই চেয়ারে বসানোর কোন কারন নেই। আর যদি তার যোগ্যতা না বুঝেই বসানো হয়ে থাকে, তাহলে তাকে অপসারনের মাধ্যমে সেটাও শোধরানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সরকার সেটা করছেন না। এছাড়া বর্তমান কমিশন বাজারকে ধংস ছাড়া পদত্যাগ করবে বলেও মনে হচ্ছে না।

অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গত ১১ মে পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে উপদেষ্টার বাসভবন 'যমুনা'-তে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক হলেও তাতে বিনিয়োগকারীদের আশা পূরণ হয়নি। ওইদিন রাশেদ মাকসুদকে অপসারন করা হবে বলে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ধারনা করেছিল। যার বাস্তবায়ন না হওয়ায় শেয়ারবাজারে ইতিবাচকতা নেই।

আরও পড়ুন....

মাকসুদ কমিশনের সাড়ে ৮ মাসে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১.০৯ লাখ কোটি টাকা

মঙ্গলবার (১৩ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮৭৫ পয়েন্টে। যা আগেরদিন বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট।

এদিন ডিএসইতে ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩৬৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ১৪ লাখ টাকার বা ৬ শতাংশ।

মঙ্গলবারি ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫৪ টি বা ১৩.৫৭ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩০৯টি বা ৭৭.৬৪ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৩৫ টি বা ৮.৭৯ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে সোমবার ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০১ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৩ টির, কমেছে ১২১ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৭ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৭৪ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট বেড়েছিল।