অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালি আঁশ কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে কাঁচামাল বিক্রেতারা ও অন্যান্যরা ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাবে বলে উল্লেখ করেছে। তবে এসব পাওনাদারের হিসাব প্রমাণাদির অভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের অনিয়ম নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসা বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ২য় পর্ব থাকছে আজ।

এই কোম্পানির আর্থিক হিসাবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন এলসি মার্জিন টাকা শুন্য দেখানো হয়েছে। তবে এর আগের বছরের ৩০ জুন ...

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালি আঁশ কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে কাঁচামাল বিক্রেতারা ও অন্যান্যরা ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাবে বলে উল্লেখ করেছে। তবে এসব পাওনাদারের হিসাব প্রমাণাদির অভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি নিরীক্ষক।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের অনিয়ম নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসা বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ২য় পর্ব থাকছে আজ।

এই কোম্পানির আর্থিক হিসাবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন এলসি মার্জিন টাকা শুন্য দেখানো হয়েছে। তবে এর আগের বছরের ৩০ জুন দেখানো হয়েছিল ৭৬ লাখ টাকা। প্রমাণাদির অভাবে এই সমন্বয়কৃত অর্থের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ লীজ হিসাবে আইএফআরএস-১৬ পরিপালন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

এ কোম্পানিটিতে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের জন্য অ্যাসেসমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ৯ লাখ টাকার জন্য আর্থিক হিসাবে ট্যাক্স সঞ্চিতি এবং অগ্রিম আয়করের সমন্বয় হিসাব করেনি।

আরও পড়ুন....

নিয়মিত অতিরঞ্জিত মুনাফা-সম্পদ বেশি দেখিয়ে আসছে সোনালি আঁশ

সোনালি আঁশে ২০২৪ সালের ৩০ জুন অবন্টনকৃত লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের লভ্যাংশের পরিমাণ ৫৪ লাখ টাকা। যার মধ্যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ টাকা বন্টন করেনি। বাকি ৫৩ লাখ টাকা কোন কোন বছরের এবং কাদের পাওনা লভ্যাংশ, সে বিষয়ে নিরীক্ষককে তথ্য দেয়নি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবের নোট ২.২১-এ ৫ বছর কর্মরত কর্মীদের জন্য প্রতিবছর ১ মাসের সমপরিমাণ অর্থ গ্রাচ্যুইটি ফান্ড গঠন করে বলে জানিয়েছে। তবে নিরীক্ষক এ ধরনের ফান্ড পরিচালনায় ট্রাস্টি বোর্ড, দলিল ও নিয়মাদি খুঁজে পায়নি। এছাড়া কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যোগ্য সব কর্মীর জন্য গ্রাচ্যুইটি ফান্ড গঠন করে না।

এসব বিষয়ে জানতে সোনালি আঁশের কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোনালি আঁশের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (২৪ আগস্ট) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৩৭.৯০ টাকায়।