ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতে দুই দিনে ২৮ উইকেট পড়লে তুলকালাম লেগে যেত

২০২৫ জুন ১৩ ১৬:৫৬:৫০
ভারতে দুই দিনে ২৮ উইকেট পড়লে তুলকালাম লেগে যেত

খেলাধূলা ডেস্ক : ক্রিকেটবিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই নিজেদের কন্ডিশনকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষ দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। কেউ পেস স্বর্গ কিংবা কোথায় স্পিনের উর্বর পিচ বানিয়ে পুরো ফায়দা নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। দ্রুততম সময়ে টেস্ট ম্যাচ শেষ হলে আবার সমালোচনায় পড়তে হয় স্বাগতিক দেশকে। এদিকে, চলমান বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডসে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা ব্যাটারদের।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচের দুই দিনেই পড়েছে ২৮ উইকেট। ফলে তৃতীয় দিনেই নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ফাইনালের দুই দিনেই ১৪টি করে উইকেট হারিয়েছে উভয়দল। ফলে বাকি ১২ উইকেট নিয়ে আজ (শুক্রবার) তারা তৃতীয় দিনের খেলায় নামবে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান, আগের ইনিংসের লিড মিলিয়ে তাদের পুঁজি ২১৮।

সবমিলিয়ে দু’দিন বাকি থাকতেই যে ইংলিশ ভূমিতে ফাইনালের ফলাফল আসতে চলেছে তা অনেকটাই অনুমেয়। এই পরিস্থিতিতে টেস্ট ম্যাচটির আয়োজকদের একহাত নিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমান বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া। পশ্চিমা গণমাধ্যম এখন চুপ কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন। এর আগে অল্প সময়ে ভারতের স্পিনিং কন্ডিশনে টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ায় কয়েকবারই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই লর্ডসের সমালোচনায় মেতেছেন আকাশ।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলেছেন তিনি, ‘লর্ডসে দুই দিনে ২৮ উইকেটের পতন দেখে একটি বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, ভারতে এমনটা হলে কী হতো? এখন কেন পশ্চিমা মিডিয়া আওয়াজ তুলছে না। এখানে বল টার্ন করছে, বাউন্স পাচ্ছে বেশ, ব্যাটিং হয়ে পড়ছে অনেক কঠিন। এ ধরনের পিচ তারা কীভাবে অনুমোদন দিলো? যেখানে তারা ভারতের বিরুদ্ধে পিচ নিজেদের মতো সাজিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে এবং বলা হয় আমরা টেস্ট ক্রিকেটকে হত্যা করছি!’

ভারতের বোলিং পিচের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আকাশ আরও বলেন, ‘আপনি দ্য টেলিগ্রাফ (ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম) থেকে শুরু করে দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের (অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম) শিরোনাম দেখে থাকতে পারেন, যাতে আপনার মতে হতে পারে আপনি এটা কী করে ফেললেন। যাইহোক, এটা যখন ইংল্যান্ডে ঘটে, তখন এটাকে বলা হয় স্পোর্টিং পিচ, যেখানে ব্যাটারদের রক্ষণাত্মক কৌশল কাজ করছে না। তা নষ্ট হয়ে গেছে, বল সেই হারে নড়ছেও না। যদি এখানে ব্যাটারদের রক্ষণাত্মক কৌশলে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে সেটি ভারতেও বৈধ।’

এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে প্রথমবার লাল বলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও তাদের লক্ষ্যটা যত বাড়বে সেই স্বপ্নের পথ ততটা দূরে মনে হতে শুরু করবে। ১৯৯৮ সালের পর আর কোনো আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়নি প্রোটিয়ারা। এদিকে, এখন পর্যন্ত অভিজাত ভেন্যু লর্ডসে টেস্টে কেবল চারবার ২০০–রানের বেশি লক্ষ্য পেরোনোর নজির রয়েছে। ২০০৫ সালের পর কেবল একবারই সেই দৃশ্য দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব।

সবমিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি দেখার পাশাপাশি প্রোটিয়াদের সুযোগও একেবারে নেই বলে মনে করেন না আকাশ চোপড়া, ‘এখন ম্যাচের কী অবস্থা? ২০০ রানের বেশি লিড হয়ে গেছে। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়া ২০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে চতুর্থ ইনিংসে কখনও হারেনি। এমনটা অতীতে হয়নি, তার মানে এই নয় যে সেটি কখনোই হবে না।’

পাঠকের মতামত:

খেলাধূলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধূলা - এর সব খবর



রে