ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ চৈত্র ১৪৩২

কোথায় নিতে চেয়েছিলেন, আর কোথায় যাচ্ছে

বিএসইসি চেয়ারম্যানের ২য় মেয়াদের ১ম দিনে বড় ধস

২০২৪ মে ১৯ ১৪:৩৩:৪০
বিএসইসি চেয়ারম্যানের ২য় মেয়াদের ১ম দিনে বড় ধস

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পরে বর্তমান কমিশন দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছিল। যেখানে সূচক ১০ হাজারে যাবে এবং লেনদেন ছাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেশের শেয়ারবাজার এখন ৫ হাজার সূচকের পথে ধাবিত। আর লেনদেন ৫০০ কোটির কাছে।

২০২২ সালের ২২ মে একাত্তর টিভিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছিলেন, আগামি ২ বছরের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ হাজার পয়েন্টে যাবে। এছাড়া তার কমিশন বিভিন্ন সময় ডিএসইর লেনদেন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছে। সেই ২ বছর প্রায় শেষ।

কিন্তু শেয়ারবাজার উল্টোপথে। ভুল প্রমাণিত হয়েছে কমিশনের আশার বাণী। দেখিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়। বরং সূচক তাদের প্রত্যাশার অর্ধেকের পথে ধাবিত।

গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক টানা ও ভয়াবহ পতনে রয়েছে। এরমধ্যে রবিবার (১৯ মে) দেশের শেয়ারবাজারে ৮৬ পয়েন্টের বড় পতন হয়েছে। এমন পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক গত ৩ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। একইসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ২য় মেয়াদের ১ম দিনেই বড় পতন দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।

শেয়ারবাজারের এমন পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। যারা চোখেমূখে অন্ধকার দেখছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। নিয়মিত সিকিউরিটিজ শুন্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার পোর্টফোলিও। কমিশনের ব্যর্থতার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪৩১ পয়েন্টে। সোমবারের এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিলের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৭ সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫৪২২ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৪০৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৬৭৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার বা ৪০ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২২ টি বা ৫.৭৯ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩৪৭ টি বা ৯১.৩১ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ১৯ টি বা ৫ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে রবিবার ৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২৩ টির, কমেছে ১৮৫ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৫ টির।এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১২ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৫৭৯৪ পয়েন্টে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে