ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নাসুমকে প্রহারের ঘটনা মিডিয়ায় ফাঁস করেন তামিম!

২০২৫ জুন ০৬ ০৯:২০:৩২
নাসুমকে প্রহারের ঘটনা মিডিয়ায় ফাঁস করেন তামিম!

খেলাধূলা ডেস্ক : ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের সদস্য নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলেছিলেন তখনকার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেই ঘটনা মিডিয়ায় আসতেই তোলপাড়। তখনকার নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে।

সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আসলেও নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তোলার ঘটনাই হাথুরুসিংহেকে চাকরি থেকে বিদায় করতে ভূমিকা পালন করে। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর নাজমুল হাসান পাপন বিদায় নিলে ফারুক আহমেদ সভাপতি হয়েই হাথুরুকে বরখাস্ত করেন।

সাবেক বোর্ড পরিচালক এনায়েত হোসেন সিরাজের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, জাতীয় দলের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

ওই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন মাহবুব আনাম এবং আকরাম খান। তারা কোচ, খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট অনেকের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করেন নিজেদের প্রতিবেদন। দলের ব্যর্থতার পাশাপাশি তারা খতিয়ে দেখেন চেন্নাইতে হাতুরাসিংহের বিরুদ্ধে নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগও।’

‘তবে নিজের চোখে ঘটনাটি দেখা তখনকার স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নিকোলাস লি এবং ভুক্তভোগী নাসুমের বক্তব্য শোনার পরও তদন্ত কমিটি একরকম দায়মুক্তি দেয় সাবেক হেড কোচকে।’

ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি হয়ে আসার পর সেই তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আবার তদন্তে নামেন। যা শেষপর্যন্ত হাতুরাসিংহের চাকরিচ্যূতির দিকে মোড় নেয়। যদিও সভাপতি ফারুক আহমেদের অপসারনের পর মাহবুব আনাম বলছেন, তাদের তদন্তে নাসুমের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে ওই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে ফাস করে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তামিমের বিরুদ্ধে। অবশ্য তিনি একা অভিযুক্ত নন। তার সঙ্গে মিডিয়ায় নাসুমকে হাতুরাসিংহের মারার ঘটনা ‘ফেরি করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির তখনকার প্রধান জালাল ইউনুসের বিরুদ্ধেও।

তারা দু’জনই হাতুরাসিংহেকে বরখাস্তের পথ তৈরি করতে তথ্য ফাঁস করেছেন বলে লেখা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে, ‘তাকে ‘থাপ্পড়’ মারার অভিযোগের বিষয়ে নাসুমকে ফোন করেছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান এবং তামিম ইকবাল। মিডিয়াতে খবরটি তারাই ফাঁস করেছেন। তারা এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চেয়েছেন, যাতে হেড কোচের চাকরি চলে যায়।’

মূলতঃ তামিম ইকবালের সঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বন্দ্বের কারণেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনে, এটাও উঠে এসেছে যে, তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে প্রভাব ছিল হাথুরুসিংহের।

তদন্ত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘তামিমের নেতৃত্বে ৮ সিরিজের ৬টিতেই জেতে বাংলাদেশ। এত সাফল্যের পরও তার প্রতি হেড কোচের আচরণের কারণে মানসিক অবসাদে ছিল সে। গত ৭-৮ মাসে হেড কোচের কাছ থেকে কোনোরকম সহযোগিতাই সে পায়নি। তবুও নেতিবাচকতা একপাশে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হচ্ছিল তার। নেতৃত্বের মেয়াদে বোর্ডের কাছ থেকেও সে সমর্থন পায়নি। চরম মানসিক চাপই ওকে (আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করেছে।’

পাঠকের মতামত:

খেলাধূলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধূলা - এর সব খবর



রে