ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

চার কার্যদিবস পর শেয়ারবাজারে পতন

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৪:৪৮:৫৯
চার কার্যদিবস পর শেয়ারবাজারে পতন

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে অযোগ্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন শাস্তি কমিশনের চাপিয়ে দেয়া অযৌক্তিক মার্জিণ ঋণ রুলসটি আদালতে স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন খবরে ৪ কার্যদিবস (১৬-১৯ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পতন হয়েছে। যেটাকে অনেকে দর সংশোধন বা কারেকশন মনে করছেন।

গত ১৫ মাস ধরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সংস্কার করছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে তারা যতই সংস্কার করছে, ততই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে করে বর্তমান কমিশনের সংস্কার এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অপসংস্কার হিসেবে ধরা দিয়েছে। যে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কিছু করতে না পারলেও শুরু থেকে বিভিন্ন জনকে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বিএসইসিকে ‘শাস্তি কমিশন’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।

শেয়ারবাজারের স্বার্থে বিনিয়োগকারীরা মাকসুদের অপসারণ চান। যার অপসারণেই শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বিনিয়োগকারীদের। কারন মাকসুদ শেয়ারবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮৬৯ পয়েন্টে। যা সর্বশেষ টানা ৪ কার্যদিবসের উত্থানের মধ্যে বুধবার ৫৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৭২ পয়েন্ট, সোমবার ৪৩ পয়েন্ট ও রবিবার ২৯ পয়েন্ট বেড়েছিল।

তবে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ১২৩ পয়েন্ট ও বুধবার ৪৭ পয়েন্ট কমেছিল। আর মঙ্গলবার ১২ পয়েন্ট বাড়লেও তার আগের টানা ৭ কার্যদিবসের (২-১০ নভেম্বর) পতনের মধ্যে গত সপ্তাহের সোমবার ৩৯ পয়েন্ট ও রবিবার ৬৮ পয়েন্ট এবং এর আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ১৯ পয়েন্ট, বুধবার ৩২ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৪২ পয়েন্ট, সোমবার ৫৫ পয়েন্ট ও রবিবার ৬ পয়েন্ট কমে। এতে করে সূচকটি ৭ কার্যদিবসে কমে ২৬১ পয়েন্ট।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগেরদিন হয়েছিল ৪২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ৬ শতাংশ।

আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৪ টি বা ২৮.০৩ শতাংশের। আর দর কমেছে ২৩৮ টি বা ৬৪.১৫ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ২৯ টি বা ৭.৮২ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৭ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৭ টির, কমেছে ৬৫ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬৪২ পয়েন্টে।

আগেরদিন সিএসইতে ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ১১৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে