দুদকের বেড়াজালে রাশেদ মাকসুদ
অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ছিলেন বিতর্কিত ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। যিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আরজু ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ আর্থিক দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি। বরং সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করার অভিযোগ আছে। যে কারনে অন্যদেরসহ তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন ২৬৪ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মে তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রাশেদ মাকসুদকে দুদকে তলব করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাশেদ মাকসুদকে দুদকে ৩-৪ বার তলব করা হয়। যেখানে তাকে এনআরবিসি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জেরা করা হয়। এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন রাশেদ মাকসুদ।
এ বিষয়ে জানতে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত দিয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ১১ জুন দুদুক এর চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের স্মারক নং হলো ০০.০১.১৫০০.৭১৩.০১.০২৬.২০২০-১০৬৫। এতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের এ এন্ড আউট ওয়্যার লি:, নর্ম আউট লি: এবং কোল্ড প্রে লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীনকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ২৬৪ কোটি টাকা ঋন গ্রহণ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ তোলা হয়। ওই সময় ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন রাশেদ মাকসুদ। যিনিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক।
এমন একজন ব্যক্তিকে দেশের আরও বড় দায়িত্ব তথা পুরো শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের অধীনে হাজার খানেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া লাখ লাখ বিনিয়োগকারী সরাসরি জড়িত। যিনি বিএসইসিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্রমান্বয়ে তলানির দিকে। অথচ আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ও মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পূণ:গঠনের আগে শেয়ারবাজারে অনেক ভালো হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। যা পরবর্তীতে বিএসইসিতে যোগ্য লোকের অভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি।
পারভেজ তমালরা এনআরবিসি ব্যাংক দখলের পরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি দুর্নীতির মাফিয়া সিন্ডিকেট তমাল-আরজু-আদনানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হন।
ঋণের বাহিরে তমাল-আদনান-আরজুদের সুবিধা দিতে গড়ে তোলা হয় ২০১৮ সালে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি স্বতন্ত্র কোম্পানি। এর মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংকের সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সরঞ্জামাদি ক্রয়, শাখা-উপশাখার ডেকোরেশন ও গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন সেবা সরবরাহের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রন নেয় তমাল, আরজু ও আদনানের ওই কোম্পানি।
কোম্পানিটির যাত্রা শুরুর সময়ের আরজেএসসি অনুমোদিত সংঘবিধি অনুসারে ব্যাংকের মালিকানায় এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের ২ লাখ বা ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার ছিল। আর ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৩টি বা ১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা গ্রহণ করেন পারভেজ তমাল। রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু ও আদনান ইমামের প্রত্যেকের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬১টি বা ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল।
এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের মালিকানা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের তিন শীর্ষ পদধারীর জানা স্বত্ত্বেও, ওইসময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকা রাশেদ মাকসুদ একচেটিয়া ব্যাংকের সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, সরঞ্জামাদি ক্রয়, শাখা-উপশাখার ডেকোরেশন ও গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন সেবা সরবরাহের কার্যাদেশ এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের অনুকূলে প্রদান করেন।
এছাড়া শুধুমাত্র লুটপাটের উদ্দ্যেশ্যেই রাশেদ মাকসুদের অনুমোদনে ব্যাংকের কর্মকর্তা ল্যাফটেনেন্ট কমান্ডার (অবঃ) ফরহাদ সরকারকে ব্যাংকের চাকুরীতে থাকা অবস্থায় পরিচালকদের মালিকানাধীন এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের এমডি ও সিইও হিসেবে ডেপুটেশনে পদায়ন করা হয়। যা ব্যাংকের সম্পূর্ণ স্বার্থবিরোধী কাজ। এভাবে ব্যাংকের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিচালকদের যোগসাজশে শতকোটি টাকা আত্মসাতে সহায়তা করেছেন রাশেদ মাকসুদ।
২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৭৮তম বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাকসুদের সুপারিশে এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের অনুকূলে ৬০.০০ কোটি টাকার কম্পোজিট ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি অনুমোদন করা হয়। এরমধ্যে ২০.০০ কোটি টাকার অমনিবাস ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও ৪০.০০ কোটি টাকার লিজ ফাইন্যান্স ফ্যাসিলিটি অন্তর্ভূক্ত ছিলো।
এরমধ্যে অমনিবাস ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি বিশেষ ধরনের ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি। যেখানে লোন গ্রহনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ইচ্ছাই প্রাধান্য পায়। গ্রাহক তার ইচ্ছেমাফিক যেকোন ধরনের ফান্ডেড না ননফান্ডেড লোন নিতে পারেন।
এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং এনআরবিসি ব্যাংক কোম্পানিটির একমাত্র সেবা গ্রহিতা বা গ্রাহক। এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ও এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান একই ব্যক্তি হওয়ায় এবং পরিচালকেরা উভয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকায়, লোন অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অবৈধ।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ১৮ (৬) ধারা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী জারিকৃত “ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে লেনদেন সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান” সংক্রান্ত বিআরপিডি ৪নং সার্কুলারের পরিপন্থী হিসেবে কাজ করা হয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক ও এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের মধ্যে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডি কর্তৃক পরিচালিত ২০২২ সালের বিশেষ পরিদর্শন ও অনুসন্ধান রিপোর্টে ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যানের সিংহভাগ মালকানায় থাকা এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্যাংকের একচেটিয়া ব্যবসা, নিয়োগ বাণিজ্য, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ আদায়, ব্যাংকের নিজস্ব প্রকিউরমেন্ট পলিসি লঙ্ঘন ও বিধিবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের মুনাফা হ্রাসের বিষয়ে আপত্তি উল্লেখ করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও তার পিতা শাহজাহানের বেনামী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লান্তা সার্ভিসেসের নামে পূর্বের ৩.০০ কোটি টাকার বেনামী লোন নিয়ে বোর্ডের আপত্তি ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষন থাকা স্বত্ত্বেও (কোম্পানী ম্যাটার ২৫৯/২০১৬), ১৯.০২.২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠেয় ৭৮তম পর্ষদ সভায় রাশেদ মাকসুদের সুপারিশে লান্তা সার্ভিসেসের নামে ৪.৫০ কোটি টাকার কম্পোজিট ক্রেডিট লিমিট প্রদান করা হয়। এই লোন প্রস্তাব অনুমোদনের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে তমাল পারভেজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোন ডিক্লারেশন দেয়া হয় নাই। এছাড়া লোনের বিপরীতে কোন সহায়ক জামানতও নেয়া হয় নাই। তাছাড়া পারভেজ তমাল সেই বোর্ড সভায় নিজে উপস্থিত ছিলেন।
এরপরে ৩০.০৩.২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত পরবর্তী ৭৯তম বোর্ড মিটিংয়েই কম্পোজিট ক্রেডিট লিমিট ৪.৫০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৬.৫০ কোটি করা হয়। এরপরে ২৭.০৬.২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ৮২তম পর্ষদ সভার ৩৭তম এজেন্ডা অনুসারে লান্তা সার্ভিসেস লিমিটেডের নামে ১.৬০ কোটি টাকার হায়ার পারচেজ লোন অনুমোদন হয়। হায়ার পারচেজ লোনটি “মেমো থ্রু সার্কুলেশনের” মাধ্যমে বিশেষ বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হয়। অথচ এই লোনটি সার্কুলেশন মেমো হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় মতন গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরী ছিলো না। এই লোনের বিপরীতে কাস্টমারের কাছ থেকে কোন প্রকার ইকুইটিও নেয়া হয় নাই। শুধুমাত্র চেয়ারম্যানের স্বার্থসিংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবেই লান্তা সার্ভিস এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করে।
লানতা সার্ভিসেস লিমিটেডের বনানী শাখার একাউন্ট নং ০১২১৩৩৩০০০০০৩৫০ পর্যালোচনা করে পাওয়া যায় যে, ১.৬০ কোটি টাকার হায়ার পারচেজ লোনটি ০৩.০৬.২০১৯ তারিখে ডিসবার্সমেন্ট করা হয়। যা পে-অর্ডার নং ৬৯৬৬৯৯ এর মাধ্যমে এজি অটোমোবাইলসকে এই অর্থ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে ২০.০৭.২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ৮৪তম পর্ষদ সভার ৪৩তম এজেন্ডার মাধ্যমে ল্যান্ড রোভার গাড়ী ক্রয়ের জন্য ২.৪২ কোটি টাকার হায়ার পারচেজ লোন অনুমোদন দেয়া হয়। কাস্টমার গাড়ীর মূল্যের মাত্র ১৫ শতাংশ ইকুইটি হিসেবে দেয়ার অনুমতি পায়। এভাবে পর্ষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক ব্যাংকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানকে ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক সুবিধা দেয়া ক্রেডিট নর্মসের পরিপন্থী। ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন না বলে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের দাবি।
রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন তমাল-আর্জু-আদনানের নির্দেশে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৭৮তম পর্ষদ সভায় পাবনার রুপপুর শাখার গ্রাহক পাপারোমা্র নামে ৫.০০ কোটি টাকার ওভারড্রাফট ঋণ অনুমোদন করেন। ঋনের অর্থে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন ১৭৩.৫০ শতাংশ জমি পাপারোমার মালিকানায় ক্রয় করা হয়। কিন্তু ঋণ অনুমোদন ও জমি ক্রয়ের পূর্বেই ঋনের সহায়ক জামানত হিসেবে ওই ১৭৩.৫০ শতাংশ জমিকেই দেখানো হয়।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক ঋনের আবেদনে ভুল তথ্য প্রদান ও ঋণের টাকা ছাড় করে সহায়ক জামানত ক্রয় সম্পূর্ণ বে-আইনী ও সুশাসনের পরিপন্থী।
তাছাড়া ওই ঋন অনুমোদনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসিকেও সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিভিশনের ২৪.০৫.২০২২ থেকে ২৮.০৪.২০২২ এবং ১০.০৫.২০২২ থেকে ১৫.০৫.২০২২ পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ কার্যদিবস পরিচালিত বিশেষ পরিদর্শনে পাপারোমার ঋনের অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু তমাল-আর্জু-আদনানের সাথে সখ্যতার কারনে সেসময়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীরের নির্দেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাকসুদসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নাই।
এদিকে রাশেদ মাকসুদ ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন ব্যাংকের নতুন শাখা-উপশাখার ডেকোরেশনের জন্য তমাল-আর্জু-আদনানের মালিকানাধীন এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট ও লান্তা সার্ভিসেসকে একচেটিয়া কার্যাদেশ প্রদান করেছেন এবং সন্তোষজনক কারন ছাড়াই কার্যাদেশের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছেন।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৭৪তম পর্ষদ সভার ৫১তম এজেন্ডায় উল্লেখ করা হয়, নেত্রোকোনার পূর্বধলা শাখার ডেকোরেশনের জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে Archicons, Lanta Fortuna Properties Limited & Adrita Trading। টেন্ডারে Archicons সর্বনিম্ন দর দিলেও রাশেদ মাকসুদরা এই দামে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে কাজটি তমালদের লান্তা ফরচুনা প্রপারটিজকে দেয়া হয় এবং গুণমান সম্পন্ন কাজ করার জন্য টেন্ডার প্রাইজের চেয়ে ১০% দাম বেশী ধরে কাজের মূল্য নির্ধারন করা হয়।
এরপরে ২০১৯ সালের ২৭ জুন অনুষ্ঠিত ৮২তম পর্ষদ সভার ৪২,৪৩,৪৪ ও ৪৬তম এজেন্ডার মাধ্যমে মাদারগঞ্জ, রাজবাড়ী, রামপুরা, বরগুনা শাখার ডেকোরেশনের কাজ ও ৫৪তম এজেন্ডার মাধ্যমে বিভিন্ন শাখায় আসবাবপত্র সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। তবে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত ৮৪তম পর্ষদ সভার ৩০তম এজেন্ডার মাধ্যমে বরগুনা শাখা ও রাজবাড়ী শাখার ডেকোরেশনের কার্যাদেশের মূল্য বৃদ্ধি করে লান্তা সার্ভিসেস এর পক্ষে অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন রাশেদ মাকসুদ কর্তৃক যাচাইবাছাই ব্যতীত শুধুমাত্র তমাল-আর্জু-আদনানের নির্দেশেই তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ঋণ অনুমোদনের আরও অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা দলের বিভিন্ন অনুসন্ধানী রিপোর্টে ব্যাংকের উত্তরা শাখার তৈরী পোশাকের গ্রাহকসহ বিভিন্ন শাখা থেকে দুর্বল গ্রাহকদের অনুকূলে নিয়ম বহির্ভূত ঋণ প্রদানের বিষয় উল্লেখ আছে।
পাঠকের মতামত:
- দুদকের বেড়াজালে রাশেদ মাকসুদ
- পাওয়ার গ্রীডের স্পটে লেনদেন শুরু
- পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লেনদেনে ফিরেছে ৪ কোম্পানি
- ইনটেকের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি
- আইসিবি পেল ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ
- ৮ ভেন্যুতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো
- আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত তিশার
- আবারও বিয়ে করলেন সংগীতশিল্পী পূজা
- ব্লক মার্কেটে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন
- আজও লুজারে দূর্বল কোম্পানির দাপট
- গেইনারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আধিপত্য
- ডিএসইতে সামান্য পতন, সিএসইতে বড় উত্থান
- সালভো কেমিক্যালের এমডির শেয়ার ক্রয়
- কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন
- ফরচুন সুজের লভ্যাংশ ঘোষনা
- স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং মান প্রকাশ
- চার কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লভ্যাংশ নেবে না ৩৯ কোম্পানির উদ্যোক্তা/পরিচালক
- রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার
- বর্ষসেরা সিইও পুরস্কার পেলেন ওয়ালটন মাইক্রো-টেকের নিশাত তাসনিম শুচি
- প্রযোজকের ক্ষতির কথা ভাবলেন শ্রদ্ধা
- ধর্মেন্দ্র আর নেই
- লেনদেনের শীর্ষে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
- ব্লক মার্কেটে ৩২ কোটি টাকার লেনদেন, শীর্ষে সিমটেক্স
- গেইনারের শীর্ষে আইএফআইসি ব্যাংক
- আজও লুজারে দূর্বল কোম্পানির দাপট
- শেয়ারবাজারে বড় উত্থান
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং মান প্রকাশ
- যুক্তরাজ্যের বাজারে রেনাটার নতুন ওষুধের যাত্রা শুরু
- বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ‘নো’ ডিভিডেন্ড
- আরেকটি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু
- লেনদেনে ফিরেছে ১০ কোম্পানি
- ৭ কোম্পানির স্পটে লেনদেন শুরু
- ২ কোটি টাকার কোম্পানির ২৯ কোটি লোকসান
- ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকা বাদ, তৃপ্তি যোগ
- 'চাঁদের আলো' ছবির নির্মাতা শেখ নজরুল মারা গেছেন
- ব্লক মার্কেটে ১৯ কোটি টাকার লেনদেন
- গেইনারের শীর্ষে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স
- লুজারে দূর্বল কোম্পানির দাপট
- মাকসুদের অপসারনের গুজবে শেয়ারবাজারে উত্থান
- সমতা লেদারের লভ্যাংশ সভার তারিখ ঘোষনা
- জমি বেচবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার
- এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের লোকসান বেড়েছে ৬৬ শতাংশ
- বিভিন্ন জটিলতায় আজিজ পাইপসের অস্তিত্ব হুমকিতে
- ইউনাইটেড পাওয়ারের মুনাফা কমেছে ৩১ শতাংশ
- কোয়েস্ট বিডিসির ‘নো’ ডিভিডেন্ড
- ফু-ওয়াং সিরামিকের মুনাফা কমেছে ৫৭ শতাংশ
- করপোরেট ক্রিকেট কার্নিভালে শুক্রবার মাঠে নামছে ওয়ালটন
- সাপ্তাহিক লুজারের শীর্ষে সিমটেক্স
- সাপ্তাহিক গেইনারের শীর্ষে বন্ধ খুলনা প্রিন্টিং
- ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই রেশিও বেড়েছে
- ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের লভ্যাংশ ঘোষনা
- লুজারের শীর্ষে সিমটেক্স
- গেইনারে দূর্বল কোম্পানির দাপট
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং মান প্রকাশ
- ফাইন ফুডসে এমডি নিয়োগ
- এবি ব্যাংকে এমডি নিয়োগ
- চার কার্যদিবস পর শেয়ারবাজারে পতন
- সমতা লেদারের লোকসান বেড়েছে ৩৩ শতাংশ
- লেনদেনে ফিরেছে ১৭ কোম্পানি
- ১৮ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- এলসি প্রতিবন্ধকতায় মেঘনা সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ : অস্তিত্ব ঝুঁকিতে
- লুজারের শীর্ষে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- গেইনারের শীর্ষে রহিমা ফুড
- ব্লক মার্কেটে ১৮ কোটি টাকার লেনদেন
- লেনদেনের শীর্ষে শাহজিবাজার পাওয়ার
- টম কুরুজকে অনিল কাপুরের শুভেচ্ছা
- মিস ইউনিভার্সে জামদানিতে মিথিলা
- অযৌক্তিক মার্জিণ ঋণ রুলস স্থগিতের সম্ভাবনাকে ঘিরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শেয়ারবাজার
- পুঁজিবাজারে রুলস হওয়ার আগেই সমাধান খুঁজতে হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান
- প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের নাম পরিবর্তন
- আগামীকাল লেনদেনে ফিরবে ১৭ কোম্পানি
- আগামীকাল ১৮ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- ওয়ালটন হাই-টেকের লভ্যাংশ বিতরণ
- পাঁচ ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা নিঃশ্ব, চেয়ে চেয়ে দেখল মাকসুদের ‘শাস্তি কমিশন’
- আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের উচ্চ দরে ইস্যু আনা : এখন বেহাল দশা
- আড়ালে বিএসইসির চেয়ারম্যান-কমিশনারদের সমালোচনা : সামনে ভূয়সী প্রশংসা
- বড় মূলধনী-গেম্বলিং ৩৫ কোম্পানি ছাড়া ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- কমিশনের বিদায় বেলায় মূল্যসূচক নামল ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে
- এনআরবিসি ব্যাংক লুটেরাদের সহযোগী ছিলেন রাশেদ মাকসুদ : তদন্তে দুদক
- বিএসইসিকে পরাধীন করার পাঁয়তারা : হারাতে পারে আইওএসকো’র সদস্যপদ
- চালু আছে ৯৩% কোম্পানি, লভ্যাংশ দিচ্ছে ৭৮%
- আরও ২৩ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- ৯ মাসের ব্যবসায় ৫১ শতাংশ ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে
- বিএসইসির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে
- এবার ডিএসইর পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ালেন হেলাল : রয়েছে ষড়*যন্ত্রকারী নাহিদ
- দেখে নিন ২০ কোম্পানির লভ্যাংশ
- বেক্সিমকোসহ সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
- বেস্ট হোল্ডিংসের আইপিওতে আবেদনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ
শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর
- দুদকের বেড়াজালে রাশেদ মাকসুদ
- পাওয়ার গ্রীডের স্পটে লেনদেন শুরু
- পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ
- লেনদেনে ফিরেছে ৪ কোম্পানি
- ইনটেকের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি














