ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস

টানা ৮ কার্যদিবসের পতনে সূচক কমল ৩৮৪ পয়েন্ট

২০২৪ মে ২৩ ১৪:৫৩:০৭
টানা ৮ কার্যদিবসের পতনে সূচক কমল ৩৮৪ পয়েন্ট

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পরে বর্তমান কমিশন দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক আশার বাণী শুনিয়েছিল। যেখানে সূচক ১০ হাজারে যাবে এবং লেনদেন ছাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেশের শেয়ারবাজার এখন ৫ হাজার সূচকের পথে ধাবিত। আর লেনদেন ৫০০ কোটির কাছে।

২০২২ সালের ২২ মে একাত্তর টিভিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছিলেন, আগামি ২ বছরের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ হাজার পয়েন্টে যাবে। এছাড়া তার কমিশন বিভিন্ন সময় ডিএসইর লেনদেন ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়াবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছে। সেই ২ বছর শেষ।

কিন্তু শেয়ারবাজার উল্টোপথে। ভুল প্রমাণিত হয়েছে কমিশনের আশার বাণী। দেখিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়। বরং সূচক তাদের প্রত্যাশার অর্ধেকের পথে ধাবিত।

গত কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক টানা ও ভয়াবহ পতনে রয়েছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দেশের শেয়ারবাজারে ৫৯ পয়েন্টের পতন হয়েছে। এর আগের ৭ কার্যদিবসে সূচকটি কমেছে ৩২৫ পয়েন্ট। এমন পতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক গত ৩ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমেছে। একইসঙ্গে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ২য় মেয়াদের সব কার্যদিবসই বড় পতন হয়েছে।

শেয়ারবাজারের এমন পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা। যারা চোখেমূখে অন্ধকার দেখছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। নিয়মিত সিকিউরিটিজ শুন্য হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার পোর্টফোলিও।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩১২ পয়েন্টে। এমন পতনে ডিএসইএক্স সূচকটি ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে গেছে। অর্থাৎ আজকের সূচকটি বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল সূচকটি আজকের তুলনায় কম ছিল। ওইদিন ডিএসইএক্স ছিল ৫৩১০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৫০৮ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৫৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার বা ১৪ শতাংশ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮৯ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪২ টি বা ১০.৮০ শতাংশের। আর দর কমেছে ৩১৯ টি বা ৮২.০১ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ২৮ টি বা ৭.২০ শতাংশের।

অপরদিকে সিএসইতে বৃহস্পতিবার ৬৯ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২২১ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ২১ টির, কমেছে ১৭৭ টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৩ টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁডিয়েছে ১৫৪০৩ পয়েন্টে।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে