ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিএসইসির দূর্ণীতিবাজ একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন

২০২৪ নভেম্বর ০২ ১৩:১২:১১
বিএসইসির দূর্ণীতিবাজ একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : ক‍্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানি বলেন, বর্তমান কমিশন অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর- এমনটি দাবি ও প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ‍্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনেক দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। যাদের মধ‍্যে একজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। বরং ওইসব দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের পরামর্শে কাজ করে বর্তমান কমিশন।

শনিবার (০২ নভেম্বর) ডিবিএ আয়োজিত 'বাংলাদেশ পুজিঁবাজারের বর্তমানে প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আইসিবি চেয়ারম্যান আবু আহমেদসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক মনির হোসেন বলেন, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের যোগ্যতা শুন‍্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।

এসময় তিনি বলেন, বিএসইসিতে নতুন কমিশন দায়িত্ব নিলে ডিবিএসহ সবাই প্রশংসা করে। আর বিদায় নিলে সমালোচনা করে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমালোচনার কাজ করলে, ক্ষমতায় থাকাকালীনই কমিশনের সমালোচনা করতে হবে। তাহলে সুফল পাওয়া যাবে।

ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, রেগুলেটর বলেছে ডিএসইর সমস‍্যা আছে। আমিও বলি অবশ‍্যই আছে। তবে বর্তমান পর্ষদ একসঙ্গে কাজ করছে। তবে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সবাই এই বাজার নিয়ে অভিজ্ঞ না। এছাড়া আমাদের ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তার মতো পদ খালি রয়েছে।

সাংবাদিক সুজয় মহাজন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএসইসি এমন সব জরিমানা করেছে, যা আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। আসলে কমিশনের আদায় করার ক্ষমতা আছে কিনা, সেটাও একটা বিষয়।

আরেক সাংবাদিক আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, দেশে বিনিয়োগ করার মতো অনেক বিনিয়োগকারী আছে। কিন্তু বিনিয়োগের পরিবেশ নেই।

সাংবাদিক জেবুন নেছা আলো বলেন, শেয়ারবাজারে বিভিন্ন কোম্পানি কৃত্রিম আর্থিক হিসাব তৈরী করে। এটা শেয়ারবাজারের বড় সমস‍্যা। এটা সমাধান করতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু বলেন, নিরীক্ষকদের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই। কারন তারা জেনেবুঝে ভূয়া আর্থিক হিসাব সঠিক বলে সত‍্যায়িত করে। এই সমস‍্যা নিয়ে শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না।

ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও আইসিবির সংস্কার দরকার। এ বিষয়ে আইসিবি চেয়ারম্যান ও স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালকদেরকে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহনের আহবান করেন তিনি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পরিবর্তিত অবস্থার পরে সরকারের কাছে শেয়ারবাজার নিয়ে যেরকম প্রত‍্যাশা ছিল। সেরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই ড. ইউনুস সরকারের কাছে এদিকে নজর দেওয়ার আহবান করেন তিনি।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে