এখনো শত কোটি টাকার বেশি পূঞ্জীভূত লোকসানে বিকাশ

মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে সবচেয়ে বেশি বাজার দখল করে রেখেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’। তবে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানিটি এখনো শত কোটি টাকার বেশি পূঞ্জীভূত লোকসানে।

বিকাশ এখনো মাঝেমধ্যে লোকসান গুণে। কোন বছর মুনাফাতো পরের বছর লোকসান। যে কারনে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১৩ বছরের পথচলার পরেও পূঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর ১৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার পূঞ্জীভূত লোকসান কমে চলতি বছরের ৩০ জুন দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি ২২ লাখ টাকায়।

কোম্পানিটির আগের বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন ২০২২) লোকসান হলেও চলতি বছরের একই সময়ে মুনাফায় ফিরেছে। বিকাশের ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে টার্নওভার বা আয় বেড়েছে ২৩%। এর বিপরীতে কোম্পানিটির মুনাফা উন্নতি হয়েছে ১৯০%।

দেখা গেছে, বিকাশের আগের বছরের প্রথমার্ধে ১ হাজার ৮৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকার আয় হয়েছিল। যা ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩১৫ কোটি ২৮ লাখ টাকার। এ হিসাবে আগের বছরের থেকে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে আয় বেড়েছে ৪৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার বা ২৩%।

আয়ে এমন উত্থানের উপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে বিকাশের নিট মুনাফা হয়েছে ৩৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছরের ব্যবধানে ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে ৮০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বা ১৯০%।

ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশের পাশাপাশি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ ও ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে বিকাশের ৫১% মালিকানা রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। এছাড়া ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টসে ৯৯.৯৫%, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজে ৯০%, ব্র্যাক সজন এক্সচেঞ্জে ৯৩.৭৫% মালিকানা রয়েছে। আর সহযোগি কোম্পানি ব্র্যাক আইটি সার্ভিসেসে ৯.৯৯৯% মালিকানা রয়েছে।

সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজের আগের বছরের প্রথমার্ধের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে কমে হয়েছে ৯৪ লাখ টাকা। আর ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের ৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার লোকসান কমে হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। তবে ওয়েবসাইটে ব্র্যাক সজনের আর্থিক হিসাব প্রকাশ না করায় মুনাফার তথ্য পাওয়া যায়নি।