অবশেষে শেয়ার কারসাজির দায়ে শাস্তির আওতায় সাকিব আল হাসান 

অর্থ বাণিজ্য প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরেই আবুল খায়ের হিরুর সঙ্গে সংঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের কারসাজির খবর ছিল। তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাকে শাস্তির আওতায় আনছিল না। অবশেষে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়া ১ মাস সময়ের ব্যবধানে তাকে শাস্তির আওতায় আনল।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির মাধ্যমে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করায় সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এর সভাপতিত্বে ৯২৩ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ‘দেশব্যাপি বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’ এর শুভেচ্ছা দূত থেকে সাকিব আল হাসানকে বাদ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আরও পড়ুন....

যে কারনে আলোচনায় বিএসইসি কমিশনারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির দায়ে সাকিব আল হাসান ছাড়াও ইসহাল কমিউনিকেশনকে ৭৫ লাখ টাকা, আবুল খায়েরকে ২৫ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ টাকা, মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ টাকা, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজকে ১ লাখ টাকা এবং জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের অন্যতম ব্যবসায়িক পার্টনার শেয়ারবাজারের বহুল সমালোচিত গেম্বলার বা কারসাজিকর আবুল খায়ের হিরু। যার সঙ্গে তালমিলিয়ে কারসাজি হওয়া শেয়ারগুলোতে বড় বিনিয়োগও করেছেন সাকিব। এক্ষেত্রে সাকিবও কারসাজির অংশীদার হিসেবে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। যার বিচার দাবি করে আসছিলেন বিনিয়োগকারীরা। যা নিয়ে গত ২৯ আগস্ট অর্থ বাণিজ্যতে ‘শেয়ারবাজার কারসাজিকর সাকিবের বিচার দাবি’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।